ঢাকা, শনিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

তরুণ সমাজ ভয়াবহভাবে তামাকে ঝুঁকছে: প্রতিমন্ত্রী রাসেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২১
তরুণ সমাজ ভয়াবহভাবে তামাকে ঝুঁকছে: প্রতিমন্ত্রী রাসেল ...

ঢাকা: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, তরুণ সমাজ ভয়াবহভাবে তামাকে ঝুঁকছে। বর্তমানে যুবসমাজের মধ্যে তামাক সেবন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা ভয়াবহ।

বিশ্বে তামাক ব্যবহারে বাংলাদেশ অন্যতম।  

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) আসন্ন জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ এ তামাক কর বৃদ্ধির মাধ্যমে যুব সমাজকে তামাক সেবনে নিরুৎসাহিত করা শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডিজেএফবি ও ডরপ এর যৌথ উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে এক তৃতীয়াংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করছে এটা খুবই ক্ষতিকর। যুবকদের যদি আমরা তামাক সেবন থেকে দূরে না রাখতে পারি তবে আমাদের টার্গেট পূরণ করতে পারবো না। ২৪ বছরের নিচে ৪৯ শতাংশ তরুণ রয়েছে যারা তামাক সেবন করছে এটা ভয়াবহ চিত্র। সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে কীভাবে যুব সমাজকে মাদক-তামাক থেকে দূরে রাখা যায়। তারপরও যে চিত্র দেখলাম এটা ভয়াবহ। এত ট্যাক্স বৃদ্ধির পরও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। শুধু ট্যাক্স বৃদ্ধি নয় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে তামাক সেবন বন্ধে।
 
জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমাদের যুবসমাজকে না বাঁচাতে পারলে দেশের টার্গেট পূরণ হবে না। ২০৪০ সালে উন্নত দেশে রূপ দিতে হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে।

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এর বাংলাদেশ এর লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,  দক্ষিণ এশীয়ায় অনেক সূচকে অনেক দেশকে পেছনে ফেলেছি। এমনকি মাথাপিছু আয়ে ভারত থেকে এগিয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে তামাকপণ্যের দাম কম। এটা বাড়াতে না পারলে দেশের জন্য ক্ষতি, যুব সমাজের জন্য শঙ্কার।

ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেন, যুব সমাজের হাতে তামাক তুলে দিলে আউটপুট পাবো না। করের বড় মাধ্যম হচ্ছে তামাক। তামাক আমাদের রেভিনিউকে সমৃদ্ধ করছে, এই বিষয়ে অনেকে যুক্তি তুলে ধরছেন। ২০১৮-১৯ সালে দেখেছি ২২ হাজার কোটি টাকার কর এসেছে তামাক থেকে একইভাবে ৩০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে চিকিৎসা বাবদ। তাহলে কী দেখলাম অতিরিক্ত ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ক্ষতি হতে হয়েছে।

সংলাপে প্রজ্ঞার টোব্যাকো কন্ট্রোল প্রোগ্রামের হেড হাসান শাহরিয়ার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।  

এসময় আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, ডরপ-এর চেয়ারম্যান আজহার আলী তালুকদার, ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, সহ-সভাপতি হামিদুজ্জামান মামুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মামুন আব্দুল্লাহ।  

সংলাপ সঞ্চালনায় ছিলেন ডিজেএফবির কার্যনির্বাহী সদস্য সুশান্ত সিনহা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২১
এমআইএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।