ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

করোনায় কর্মহীন শ্রমিকদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৯ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২১
করোনায় কর্মহীন শ্রমিকদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দাবি ছবি: শাকিল

ঢাকা: করোনায় কর্মহীন শ্রমিকদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। শুক্রবার (২৮ মে) সকাল ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ দাবি তোলা হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, কোষাধ্যক্ষ জুলফিকার আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিমল চন্দ্র সাহা, ঢাকা নগর কমিটি ও বোম্বে সুইটস কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সদস্য রতন মিয়া, বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেল ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের আহ্বায়ক রাশেদুর রহমান রাশেদ প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেন, করোনার সংক্রমণে সাধারণ জীবনযাত্রা যখন স্থবির সেই সময়ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকরা উৎপাদনের চাকা সচল রেখেছে। যার কারণে করোনা দুর্যোগকালীন মাথাপিছু আয় বেড়েছে, জিডিপি বেড়েছে। ২০১৯ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ১৯০৯ ডলার, যা গত দুই বছরে ৩১৮ ডলার বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলার হয়েছে। দেশের সম্পদ ও মাথাপিছু আয় বাড়ার কারিগর শ্রমিকদের আয় বাড়ার পরিবর্তে কমেছে কমপক্ষে ২০ শতাংশ। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, আয় কমে যাওয়ায় প্রায় ৫২ শতাংশ পরিবার প্রতিদিনের খাদ্য ব্যয়ের পরিমাণ কমিয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, করোনায় বাংলাদেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যাদের দৈনিক আয় ১.৯ ডলারের কম তাদের সংখ্যা ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২২ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ করোনাকালে দেশের সম্পদ বাড়ার পাশাপাশি বৈষম্যের মাত্রা বেড়েছে। কয়েক হাজার মানুষ কোটিপতি হওয়ার বিপরীতে কোটি কোটি মানুষ দরিদ্র থেকে অতিদরিদ্রে পরিণত হচ্ছে। এ শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষরা রাষ্ট্রের খরচের অধিকাংশ যোগান দেয়। গত বছর দেশের মোট রাজস্ব আয়ের ৫০ শতাংশের বেশি এসেছে ভ্যাট আর আমদানি শুল্ক থেকে। যার দায় চূড়ান্তভাবে ভোক্তা অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের ওপর পড়ে।

বক্তারা আরো বলেন, করোনা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমজীবীদের জন্য বিশেষত মোট শ্রম শক্তির ৮৫ শতাংশ পর্যটন হোটেল রেস্টুরেন্ট, নির্মাণ, তাঁত, পাদুকা, কুলি, পরিবহন, হালকা যানবাহন চালকসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক এবং বিদেশ প্রত্যাগত শ্রমিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে কর্মসংস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা অর্থ সহায়তার জন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্ধ করার পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিয়ে শ্রমিকদের জন্য আর্মি রেটে রেশন, শ্রমিক অঞ্চলে চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও সার্বজনীন পেনশন চালু করার দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২১
ডিএন/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।