ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০০ বছর পর রাস্তা পেল শতাধিক পরিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২১
২০০ বছর পর রাস্তা পেল শতাধিক পরিবার

বরিশাল: বিলের মধ্যে বসতবাড়ি নির্মাণ করে ২০০ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলো বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের বাঘার ও বাটাজোর ইউনিয়নের জয়শুরকাঠি গ্রামের শতাধিক পরিবার।

শুকনো মৌসুমে পরিবারগুলোর যাতায়াতের পথ ছিলো জমির আইল আর বর্ষার মধ্যে যাতায়াত করতে হতো ডিঙি নৌকা, তালের ডোঙ্গা কিংবা ভেলায় চড়ে।

যাতায়াতের আধুনিকতা না থাকায় ওইসব পরিবারকে সামাজিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধও করতে হয়েছে। তাই একটি মাটির রাস্তাই ছিলো তাদের স্বপ্ন। অবশেষে দেড় কিলোমিটার মাটির রাস্তা নির্মাণ করে ২০০ বছর পর বিলের ওই পরিবারগুলোর স্বপ্নপূরণ করা হয়েছে।

বাঘার গ্রামের বাসিন্দা হরলাল রায়, শরৎ বিন্দু রানি, মানিক লাল ব্যাপারী, কলেজ ছাত্রী মৌমিতা, সুপ্রিয়া হালদারসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, গত ২০০ বছর আগে তাদের পূর্ব-পুরুষরা বাঘার বিলের মধ্যে বসতি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলো। তাদের যাতায়াতের জন্য ছিলো না কোনো রাস্তা। এমনকি বিলের মধ্যে দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা কষ্টকর হওয়ায় কোনো জনপ্রতিনিধিই এতদিন এগিয়ে আসেনি।

অতি সম্প্রতি মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর কাছে বিলের মধ্যে দিয়ে রাস্তা নির্মাণৈর দাবি করেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০০ বছর পর দেড় কিলোমিটারের মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

এ বিষয়ে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানান, তার ইউনিয়নের বাঘার গ্রামের ও পার্শ্ববর্তী বাটাজোর ইউনিয়নের জয়শুরকাঠী গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার দীর্ঘ ২০০ বছরের অধিককাল ধরে বিলের মধ্যে বসবাস করে আসছে। পরিবারগুলো দুই গ্রামের মূল সড়ক থেকে বিছিন্ন ছিলো। তাই ওই পরিবারগুলোকে গ্রামের মূল সড়কের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির অনুপ্রেরণায় রাস্তা নির্মাণ শুরু করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মাটির রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২১
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।