ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে জোড়া লাগানো শিশু কন্যার জন্ম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২১
বরিশালে জোড়া লাগানো শিশু কন্যার জন্ম

বরিশাল: বরিশাল জেলার গৌরনদীতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে পেটে জোড়া লাগানো জমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে তাদের হাত, পা মুখ মাথা আলাদা ও স্বাভাবিক রয়েছে।

বুধবার (২ জুন) দুপুর ১২টায় গৌরনদী উপজেলা সদরের ময়ূরী ক্লিনিকের চিকিৎসক তানজিদ রহমান সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো জমজ শিশু ভূমিষ্ঠ করান।

তবে গৌরনদীতে শিশু দু’জনের সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার শঙ্কায় বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে জন্মের পর থেকে এখন পর্যন্ত নবজাতক দু’জন সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের পিতা আবু জাফর।  

তিনি জানান, নবজাতক শিশুদ্বয়ের সঙ্গে সঙ্গে সিজারিয়ানের পর আমার স্ত্রী হালিমা বেগম সুস্থ রয়েছেন। তবে গৌরনদীতে জোড়া লাগানো জমজ শিশু দু’জনের সঠিক চিকিৎসা হবে না বলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

শেবাচিম হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক সৌরভ জানিয়েছেন, ভর্তি হওয়া নবজাতক দু’জন এখন পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো শিশু দেশে আলাদা করা হয়। তবে বরিশালে এ ধরণের অপারেশন হয় না, এজন্য শিশু দু’টিকে ঢাকায় নিতে হবে।

শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আমি যোগদানের বিগত তিন বছরের মধ্যে এমন নবজাতক এই প্রথম ভর্তি হলো জানিয়ে ডা. সৌরভ বলেন, শিগগিরই শিশুদ্বয়কে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হবে। আজ না পারলেও হয়তো আগামীকাল স্বজনরা তাদের ঢাকায় নিয়ে যাবেন।

নবজাতকদ্বয়ের নানী মৌলি বেগম জানিয়েছেন, দুই মাস আগে স্থানীয় ক্লিনিকে আল্টাসনোগ্রাম করালে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন জমজ সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে। কিন্তু তারা যে জোড়া লাগানো তা বলেনি। মৌলি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন তার নাতনী দু’জন সুস্থ থাকেন। একই সঙ্গে আর্থিক অসচ্ছল হওয়ায় ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতদের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয় বলে সরকার ও সবার কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন।

নবজাতকের পিতা আবু জাফর জানান, তাদের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর গ্রামে। আর তার সংসারে আরও দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি পুরান ঢাকায় মুদি দোকান চালাতেন। কিন্তু করোনার কারণে ক্রেতা কমে যাওয়া এবং ক্রেতারা পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় তার মুদি দোকান বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় ভ্যানগাড়ি চালান।  

আবু জাফর বলেন, ভূমিষ্ঠ হওয়ার আমার সন্তান দুটি বাঁচাতে হলে অপারেশন করতে হবে। এই অপারেশন ব্যয়বহুল বলে শুনেছি। আমার একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। এজন্য সকলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২১
এমএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।