গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীতে পোশাক কারখানার প্রাইভেটকার চালক খুনের তিন মাস পর দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হাসান এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার হলো- টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার বাসিন্দা মো. রুবেল মিয়ার ছেলে রাব্বি হোসেন (২১) ও ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার মো. ছবিরের ছেলে শিপন হোসেন (২৩)।
উপ-কমিশনার জানান, গত ১ মার্চ রাতে গাছা থানাধীন মালেকের বাড়ি এলাকার এমাজিং ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার প্রাইভেটকার চালক জাহিদুল ইসলাম ঢাকায় কারখানার কয়েকজন কর্মকর্তাকে নামিয়ে গাজীপুরে ফিরছিলেন। পথে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মাছিমপুর এলাকায় প্রাইভেটকার থামিয়ে সড়কের পাশে প্রস্রাব করতে যান তিনি। এ সময় ৩-৪ জন ছিনতাইকারী তাকে ঘিরে ধরেন এবং তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা জাহিদুল ইসলামের মাথা ও উরুসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করেন।
এ সময় টহল পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা দ্রুত পালিয়ে যান। পরে পুলিশ জাহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ২ মার্চ নিহতের বড়ভাই সাইফুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশে-পাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে বুধবার (২ জুন) সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরের দিঘীরপাড় এলাকা থেকে শিপন এবং টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকা থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনা স্থলের অদূরে কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলের দেয়ালের পাশে পরিত্যক্ত স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। টঙ্গী পূর্ব থানায় শিপনের নামে ২০২০ সালের একটি ছিনতাই মামলা এবং রাব্বির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের একটি মাদক মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি হাসিবুল আলম, এসি পীযুষ কুমার দে, টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২, জুন ০৩, ২০২১
আরএস/এমআরএ