ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘৬ দফা মানে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২১
‘৬ দফা মানে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা’ ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আর বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা মানে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

 

তিনি বলেন, ৬ দফা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ধারাবাহিক আন্দোলনের অতি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক অধ্যায়। ১৯৬৬ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ দফা আওয়ামী লীগের দলীয় ইশতেহারে পরিণত হয়।

সোমবার (০৭ জুন) ঢাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর আয়োজিত ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসের ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরবচ্ছিন্নভাবে পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। ১৯৬৬ সালের জুলাই মাসে ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র হিসেবে প্রথম উপলব্ধি করি পাকিস্তান নামক যে রাষ্ট্রটিতে তখন বাস করি সেটি আমাদের স্বাধীনতা নয়, দাসত্ব। জাতির পিতার ৬ দফাতেই সেই সচেতনতা তৈরি হয়।  

তিনি বলেন, পৃথিবীর খুব কম নেতাই আছেন যারা সমগ্র জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে একটি দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে পেরেছেন। একজন বঙ্গবন্ধু সেটা করতে পেরেছেন।  

দেশের স্বাধীনতা অর্জন, সংবিধানের মূলনীতি এবং সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচিকে যুগান্তকারী উল্লেখ করে মোস্তফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু আর মাত্র ৫ থেকে ৭ বছর দেশ পরিচালনা করতে পারলে বাংলাদেশ আরও ত্রিশ বছর আগে আজকের অবস্থায় উপনীত হতে পারতো।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ১৬ বছরের শাসনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। করোনাকালে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক থাকলেও বাংলাদেশ শতকরা ৫ ভাগের বেশি জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং এ বছর সাত ভাগের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা। এই লক্ষ্যে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। জ্ঞান ভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাদাৎ হোসেন. ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, বিটিস্এিল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মু. আ. হান্নান, টেশিস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুল হায়দার চৌধুরী বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
জিসিজি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।