ঢাকা: ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় বীর কৃষকদের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি উল্লেখ করে কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের দাবি করেছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি।
সোমবার (০৭ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি করা হয়।
কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নিমাই গাঙ্গুলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত শফি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য শরীফুজ্জামান শরিফ, লাকি আক্তার ও মোবারক হোসেন ঝণ্টু।
সমাবেশে নেতারা বলেন, যাদের শ্রম এবং ঘামের ওপর ভিত্তি করে করোনার মধ্যেও দেশের খাদ্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ ছিল, সেই জাতীয় বীর কৃষকদের অবদানের কোনো প্রকৃত স্বীকৃতি এই বাজেটে নেই। দেশের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থানের খাত কৃষি। সরকারের আর্থিক নীতিতে ব্যক্তিখাতকে প্রাধান্যের কথা বলা হলেও দেশের বৃহত্তম ব্যক্তিখাত-কৃষিখাত বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন নেই।
বক্তারা বলেন, বজ্রপাত এখন কৃষকের জন্য এক ভয়ানক বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যতোটা উদ্যোগী হয়ে এই সমস্যার সমাধান দরকার, সরকার ততোটা উদ্যোগী হচ্ছে না। গুটি কয়েক ব্যক্তিকে অধিক সম্পদশালী করা সরকারের অর্থনৈতিক নীতির মূল লক্ষ্য। দেশের কৃষি এখন টিকে আছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি চক্রের নির্দেশিত পথে ও সরকারের দয়ার ওপর।
সমাবেশ থেকে বক্তারা বাজেটে কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ, কৃষকসহ গ্রামীণ শ্রমজীবীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া, করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বজ্রপাতে নিহত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, প্রান্তিক কৃষক ও গ্রামীণ মজুরদের ব্যাংকসহ এনজিও ক্ষুদ্রঋণ মওকুফ, প্রকৃত কৃষকের তালিকা হালনাগাদ করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও কৃষি ঋণ দেওয়া, লটারি সিস্টেম বন্ধ করে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা, সরকারি ক্রয়কেন্দ্র চালু, ধান ও গম বিক্রির টাকা কৃষকদের নগদ পরিশোধ করা, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, গবাদিপশু রক্ষায় স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণে দাবি করা হয়।
সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
আরকেআর/এমআরএ