ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২১
ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ 

বাগেরহাট: নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ ও ঋণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মেরি বেগম নামের এক নারী ব্যবসায়ী।  

শনিবার (১২ জুন) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার গ্রামের বটতলা বাজারস্থ মা-মেরী ক্ষুদ্র ‍ও কুটির শিল্পের(টিস্যু ব্যাগ ফ্যাক্টরি) মালিক মেরি বেগম সংবাদ সম্মেলন করেন।

 

এ সময় মেরি বেগমের ছেলে মিলন ফকির ও তার ছেলে মিরাজ ফকির উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ১৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহন করি। ব্যবসা ভাল হওয়ায় দুই বছরেই তাদের ঋণ শোধ করে দেই। পরে ২০১৯ সালে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণের আশ্বাসে ৪২ লাখ টাকায় মেশিন কেনার চুক্তি করি। কিন্তু ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড মেশিন কেনার জন্য আমাকে মাত্র ২৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়। ৩ মাস পরে আবারও কাঁচামালের জন্য ২৫ লাখ টাকা দেওয়ার অঙ্গিকার করেন তারা। মেশিন ও আনুসঙ্গিক মালামালের জন্য আমার ৬০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়ে যায়। কাঁচামালের জন্য অবশিষ্ট কোনো টাকা না থাকায় ফ্যাক্টরি পুরোদমে চালু করতে পারি নাই। বর্তমানে আমার ফ্যাক্টরি বন্ধ রয়েছে। ইউনাইটেড ফাইনান্সের ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করেই আমি ৪২ লাখ টাকা দিয়ে মেশিন কিনেছি। তা না হলে আমি কখনও এত বড় মেশিন কিনতাম না। ফ্যাক্টরি চালু করতে না পারলেও তাদের ঋণের আশায় আমি ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে প্রায় ১০ মাসে ১০টি কিস্তিতে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সকে ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ করেছি। এখন আমি নিস্ব, আমার ফ্যাক্টরির ২২ জন শ্রমিক না খেয়ে মরতেছে। আমার সংসারেও ঠিকমত ভাত জোটে না। ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ঋণের জন্য একের পর এক চাপ দিচ্ছে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে গেল ২ জুন ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ফিল্ড অফিসার জইফ হাসান আমার বাড়িতে আসেন। আমাকে লোন দেওয়ার কথা বলে আমার ব্লাঙ্ক অফিসিয়িাল প্যাড ও তাদের অফিসের কিছু কাগজপত্রে আমার স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে আমি জইফ হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সব কথা অস্বীকার করেন। ফ্যাক্টরি চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেন ষাটোর্ধ্ব ওই নারী উদ্যোক্তা।

এ বিষয়ে ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ফিল্ড অফিসার জইফ হাসানের নম্বরে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা,  জুন ১৩, ২০২১
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।