রাজশাহী: রাজশাহী মহানগর এলাকাজুড়ে সিসিটিভি স্থাপনের পর একের পর এক সুফল পাচ্ছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। এবার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চার ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- রাজশাহী মহানগরের দরগাপাড়া মহল্লার আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২০), একই মহল্লার অরিফ হোসেনের ছেলে অমিত (২০), ওপর ভদ্রা রেলবস্তির সুমন শেখের ছেলে শাকিল শেখ (১৯) ও বেলপুকুর থানার পশ্চিম জামিরা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে তুখরেজুল ইসলাম শাহেদ (৩০)।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, শুক্রবার (২ জুলাই) দিনগত রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ছিনতাই করা আটটি দামি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ৯ জুন মহানগরের নাইমুল হাসানের ছেলে হাসান শাহরিয়ার নাফিস প্রতিদিনের মতো শরীর চর্চা শেষে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। নাফিস গোরহাঙ্গা মোড়ে বিআরটিসি কাউন্টারের কাছে পৌঁছালে তিনজন অজ্ঞাত যুবক তাকে ধাক্কা দিয়ে পথরোধ করে এবং তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাকে মারধর করে আটক রাখে এবং ছেড়ে দেওয়া শর্তে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে বিকাশে দুই হাজার টাকা দাবি করেন। নাফিসের বাবা তার ছেলের অবস্থান জানতে চেয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে টাকা দিতে চাইলে ছিনতাইকারীরা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলেন।
তখন নাফিসের বাবা ছেলের খোঁজে বের হন এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। এরইমধ্যে ছিনতাইকারীরা নাফিসকে নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। এক পর্যায়ে নাফিস সুযোগ বুঝে দৌড়ে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা হয়।
মামলার পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর ও তার টিম ওই সময়ের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের পর পর্যালোচনা করে আসামিদের শনাক্ত করেন। এরপর শুক্রবার দিনগত রাতে মহানগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নাফিসের ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনসহ আরও আটটি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্ট মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মহানগর পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কমকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২১
এসএস/আরবি