খুলনা: আবারও মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেছে খুলনা। বুধবার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত খুলনায় ৮০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আষাঢ়ের ভারী এ বৃষ্টিতে প্রধান প্রধান সড়কে পানি ছাপিয়ে অলি-গলিগুলোতে থৈ থৈ পানি দেখা যায়। দুর্ভোগে পড়ে করোনা রোগীদের আনা-নেওয়া যানবাহনগুলো। অধিকাংশ বাড়ি ও দোকানপাটের নিচতলা ডুবে গেছে। বৃষ্টি থামার পর সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনেক সড়কের পানি নামেনি।
বিশেষ করে শান্তিধাম মোড়, রয়্যাল মোড় ও টুটপাড়া, হাজী মহসিন রোড, আহসান আহমেদ রোড, বিআইডিসি রোডের আলমনগর অংশে বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে নৌকা চলাচলের উপযোগী হয়ে যায়। আষাঢ়ের এটি ছিল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
এছাড়া দোলখোলা, শামসুর রহমান রোড, টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোড, মিস্ত্রী পাড়া, বিআইডিসি রোড, শেখপাড়া গোবরচাকা, সোনাডাঙ্গা আবাসিক, এম এ বারি লিংক সড়ক, শিপইয়ার্ড সড়ক, মোক্তার হোসেন সড়ক, মুজগুন্নি আবাসিক, নিরালা, গল্লামারি, খালিশপুর ও দৌলতপুরের বিভিন্ন সড়ক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। খালিশপুর হাউজিং পুরাতন ও নতুন কলোনির অপরিকল্পিত রাস্তা ও ড্রেনগুলো বছরের পর বছর সংস্কার ও পরিষ্কার না করায় পানি উপচে বাসিন্দাদের ঘরে প্রবেশ করে। টানা বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষ। অনেক দোকান এবং বাড়ির নিচতলা পানিতে ডুবে যায়। শেষ আষাঢ়ের মুষলধারে বৃষ্টির পানিতে পয়োঃবর্জ্যে সয়লাব হয়ে যায়। অনেক জায়গায় বর্জের অংশ ড্রেনে আটক গিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজে ধীর গতির কারণে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নগরবাসীর।
মহানগরীর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডাকবাংলো মোড় , রয়্যাল মোড় থেকে পিটিআই মোড়ের পানি নিষ্কাশন হয় নগরীর প্রধান সড়ক খানজাহান আলী রোডের উত্তরপাশের ড্রেন দিয়ে। সেপটিক ট্যাংক ও গৃহস্থালী বর্জ্য, নির্মাণাধীন ভবনের পেড়িমাটিতে ভরাট হয়ে গেছে ড্রেনটির বেশির ভাগ অংশ। যার কারণে অল্প বৃষ্টিতে ডুবে যায় রয়্যাল মোড়, বাইতিপাড়ার মোড়, শামসুর রহমান রোড সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, বুধবার দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত খুলনায় ৮০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২১
এমআরএম/আরএ