দিনাজপুর: দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায় ৩০০ অসহায় ও অতিদরিদ্রকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। এ ছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।
শনিবার উপজেলার ৬ নম্বর ভাণ্ডারা ইউনিয়নে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
লাঠিতে ভর দিয়ে পথ চলেন কালাচাঁদ রায়। বয়স ১০০ ছুঁতে চলেছে। বৃদ্ধ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই কাটছে জীবনের শেষ সময়টা। দুই ছেলে থাকলেও তাদের দেখভাল করেন না কেউ। বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ সহায়তা নিতে এসে তিনি বলেন, 'বুড়া হইয়া গেছি বাবা ১০ টাকাও বয়স্ক ভাতা পাই না। কেউ সাহায্যও দেয় না। বয়স্ক ভাতার জন্য চেয়ারম্যানের অফিসে যাইতে দেয় না। খালি কয় ভাইরাস আছে। তোমরা হামারে সাহায্য দিলা, এলা হলুদ মরিচ দিয়া কয়দিন খাবার পারিম। '
বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ সহায়তা পেয়ে বুদু রায় নামের এক বৃদ্ধা বলেন, 'হামার স্বামী নাই, কোন বেটাও নাই। আমি একলা মানুষ তোমার এলা ত্রাণ দিয়া ১৫ দিন খাইবা পারিম। তোমারলার জন্য আশীর্বাদ করিমু। '
ত্রাণ বিতরণে অংশ নিয়ে বিরল উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা বেগম সোনা বলেন, আমার উপজেলায় কতদূর থেকে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এসেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। তারা এ অঞ্চলের অসহায় মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানাই মানুষের মাঝে খাদ্যদ্রব্য সহায়তা দেওয়ার জন্য।
এ সময় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন ৬ নম্বর ভাণ্ডারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মামুন, উপজেলার যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মাহেশ চন্দ্র রায়, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, দিনাজপুর জেলা শাখার শুভসংঘের দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুনীল শর্মা, দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাদুর দেব শর্মা, হাবিপ্রবি শাখার রাসেদ ইসলামসহ বিরল উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী মো. একরামুল হোসেন, রুবেল হোসেন, আশরাফুল, কারীমুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, আল-আমিন, রেজাউল, গোলাম রব্বানি, কাইয়ুম, সাদেকুল, সেলিম, মাজেদুল ও রেজাউল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
এনটি