মাদারীপুর: বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে চার লঞ্চ মালিককে পাঁচ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানা করেন। এছাড়াও মাস্ক না পরায় দুই যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
জানা যায়, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও মাস্ক না পরার কারণে দুই যাত্রীকে সময়দণ্ড দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করার কারণে চারটি লঞ্চের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ঘাট এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করেন। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে লঞ্চ ও ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন তিনি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা আসতে শুরু করেছে। সরকারের নির্দেশনা মানাতে ঘাট এলাকায় কঠোর অবস্থানে আছে প্রশাসন। লঞ্চে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশ রয়েছে। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। আইন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোরবানি উপলক্ষে পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ঘাটে যাতে পশুবাহী ট্রাক ও গরু ব্যবসায়ীদের হয়রানি না হতে হয় সে ব্যাপারে সার্বিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, এই মহামারির সময়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল হয়েছে। ঢাকা থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা আসতে শুরু করেছে। সরকারের নির্দেশনা মানাতে ঘাট এলাকায় কঠোর অবস্থানে আছে প্রশাসন। আইন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২১
আরএ