বরিশাল: ঈদের দ্বিতীয় দিন বরিশালের বাস টার্মিনাল ও লঞ্চ ঘাটে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সেখানে ছিল না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে বরিশালের নদীবন্দরে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর মানুষ আসতে দেখা গেছে। যাদের গন্তব্য ছিল ঢাকা। এছাড়া দুপুরের পর বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ছিল মানুষের উপচে পরা ভিড়।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকরের খবরে ঢাকামুখী হয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। বাসে টিকিট না পেয়ে অনেক মানুষ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলারে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। আর দুপুরের পর থেকে আন্তঃজেলার বাসগুলোকে মাওয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যেতেও দেখা গেছে।
বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে গিয়ে কথা হয় সাকুরা বাস কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আরিফুর রহমানের সঙ্গে।
তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা যাওয়া প্রয়োজন। তবে সব লঞ্চ কাউন্টারে ঘুরে এখন বাস কাউন্টারে এসেছি। কোথাও টিকিট নেই। এখন ঢাকা কীভাবে পৌঁছাবো সেই চিন্তাই করছি।
মাওয়ার উদ্দেশে থ্রি হুইলারে ওঠা যাত্রী আছিয়া আক্তার বলেন, কোনো জায়গায় টিকিট পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে থ্রি হুইলারে উঠেছি। এতে ঝুঁকি আছে জানি। তবুও কিছুই করার নেই। ঢাকা যেতেই হবে।
থ্রি হুইলারের আরেক যাত্রী, বাস ও লঞ্চে টিকিট পায়নি। ওটা বর্তমানে সোনার হরিণ। তাই প্রতিজন ৮০০ টাকা করে ভাড়ায় থ্রি হুইলার ছুটছে মাওয়ার উদ্দেশে।
বরিশালের সুন্দরবন, অ্যাডভেঞ্চার, সুরভী ও কীর্তণখোলা লঞ্চ কাউন্টার ঘুরে টিকিট না না পেয়ে মুশফিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কোনো কাউন্টারে টিকিট পাইনি। কিন্তু ঢাকা যেতেই হবে। শুক্রবার (২৩ জুলাই) কঠোর বিধি নিষেধ শুরু হলে চাকরি বাঁচানো কঠিন হবে।
ঈগল পরিবহনের কাউন্টারের স্টাফ টালু দাস বলেন, অনেকে আগে থেকেই বাসের টিকিট বুকিং হয়েছে। কিছু টিকিট ছিলে যা সকালেই শেষ হয়েছে। অনেক যাত্রী কাউন্টারে ভিড় করছে। কিন্তু টিকিট বুকিং হয়েছে যাওয়ায় কাউকেই আর দিতে পারছি না।
বরিশাল টু মাওয়া রুটের বি এম এফ পরিবহনের কাউন্টার স্টাফ চঞ্চল জানান, যাত্রীদের অনেক চাপ রয়েছে। অনেক যাত্রীকেই আমরা নিতে পারছি না সিডিউল অনুযায়ী। তাই যাত্রীরাও ক্ষিপ্ত।
সুন্দরবন লঞ্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহমান পিন্টু বলেন, ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের টিকিট আগাম বিক্রি করা হয়েছে। আমাদের কাছে কোনো টিকিট নেই।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। যাত্রীর চাপ বেশি আমরা যাত্রীদের সুবিধার্থে যা করার দরকার সেটাই করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২১
এমএস/আরআইএস