ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে জন্মদিনের কেক কিনতে এসে এক যুবককে জরিমানা গুনতে হয়েছে। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত।
শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগের যেকোনো বিধিনিষেধের তুলনায় এবার তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নগরীর শেরে বাংলানগর, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, মালিবাগ, মৌচাক ও শাহবাগ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।
নগরীর শেরে বাংলানগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চেক পোস্টে দেখা যায়, সাধারণ মানুষকে রাস্তায় বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা।
এছাড়া বিজয় সরণির চেক পোস্টে দেখা যায়, প্রত্যেক যানবাহন থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় যারা বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছেন ও মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে প্রাইভেটকার হাঁকিয়ে রাজধানীর ফাঁকা সড়কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া নগরীর পল্টন নাইটিংগেল মোড়ে দেখা গেছে, একটি প্রাইভেটকারে তিন বন্ধু ঘুরতে বেড়িয়েছেন। এ সময় পুলিশি জেরার মুখে পড়েন মাশরেকুল হকসহ তার তিন বন্ধু। তারা ধানমন্ডি ৮ নম্বর থেকে পল্টনে কেক কিনতে এসেছিলেন। পরে রাস্তায় বের হওয়ার সঠিক কারণ দেখাতে না পারায় তাদের তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
মাশরেকুল বাংলানিউজকে বলেন, ছোট ভাইয়ের জন্মদিন। কিন্তু ধানমন্ডিতে কেকের কোনো দোকান খোলা নেই তাই বন্ধুরা মিলে পল্টনে এসেছি কেক কিনতে। ’
পল্টন নাইটিংগেল মোড়ের চেক পোস্টে দায়িত্বরত শাহবাগ ট্রাফিক জোনের পুলিশ সার্জেন্ট রোকনউজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের অজুহাতের শেষ নেই। একজন ধানমন্ডি থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে পল্টন এলাকায় জন্মদিনের কেক কিনতে এসেছেন। আমরা আইনের ধারা অনুযায়ী তাকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছি। তবে যারা রাস্তায় বের হওয়ার সঠিক কারণ দেখাতে পারছেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর সড়কগুলোতে কিছু দূর পর পর দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেক পোস্ট। আবার কোথাও কোথাও পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এ সময় যারা রাস্তায় বের হওয়ার সঠিক কারণ দেখাতে পেরেছেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে আর যারা উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেনি তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অথবা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর প্রধান সড়কে পণ্যবাহী গাড়ি ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলাচল করতে দেখা দেখে। এছাড়া অলিগলিতেও রিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে নগরীর বিভিন্ন এলাকার ওষুধের দোকান ও খাবারের হোটেল খোলা রাখতেও দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২১
এমআইএস/আরআইএস