ঢাকা: ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এগুলোর মধ্যে এডিপিভুক্ত ৪৪টি এবং নিজস্ব অর্থায়নের ১০টি প্রকল্প।
এডিপিভুক্ত ৪৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশ এবং নিজস্ব অর্থায়নে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ। ৫৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সার্বিক অগ্রগতি ৮৮ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে অগ্রগতি ছিল ৮৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ৪ হাজার ১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থ ২ হাজার ৮৮৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ১ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
বুধবার (২৮ জুলাই) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, সংস্থা প্রধান এবং সংশ্লিষ্টরা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিশেষ করে চট্টগ্রাম, মোংলা বন্দর ও স্থলবন্দর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। অনেক কাজ হয়েছে। বেনাপোল ও চট্টগ্রাম বন্দরের ক্রাইসিস ফেইস করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নৌপথ সচল রেখে চেইন অব সাপ্লাই ধরে রেখেছিলাম। কোভিড-১৯ মাথায় রেখেই প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে কৃচ্ছতা সাধন নীতি অবলম্বন করতে হবে। টেন্ডার জাতীয় কার্যক্রম এখন থেকেই শুরু করতে হবে, যাতে শুষ্ক মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধন হয়।
সভায় জানানো হয়, এডিপিভুক্ত ৪৪টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৯টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাতটি, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের দু’টি, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের একটি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দু’টি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দু’টি, নৌপরিবহন অধিদফতরের একটি এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের আটটি প্রকল্প।
নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ১০টি প্রকল্পের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঁচটি, বিআইডব্লিউটিসি’র তিনটি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি প্রকল্প রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২১
এমআইএইচ/ওএইচ/