ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে কঠোর লকডাউনেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২১
সিলেটে কঠোর লকডাউনেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সিলেটে কঠোর লকডাউনেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা

সিলেট: কঠোর লকডাউনের ১১তম দিনে সিলেটে অবাদে চলছে যানবাহন। রাস্তাঘাট, হাট-বাজারে মানুষের যাতায়াত যেন স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে।

চলাচলে কোথাও নেই কোনো বাধা বিঘ্নতা।

সোমবার (০২ আগস্ট) নগর ঘুরে দেখা গেছে, কঠোর লকডাউনের মধ্যে সব কিছু চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। নগরের মাছ ও সবজির পাইকারি আড়তে ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়।

এদিন নগরের কোথাও কোথাও যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্কের ছিটেফোটাও নেই। কঠোর লকডাউনেও জীবনযাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।

মানুষের ভিড়ে মুখরিত ছিল কালিঘাট পাইকারি বাজার, সুবহানিঘাট সবজির আড়ত ও কাজিরবাজার মৎস আড়ত। সেসব বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহারে নেই সচেতনতা। অধিকাংশ লোকজন মাস্কহীন ঘোরাফেরা করছিলেন। কারও কারও মুখে মাস্ক লাগানো না থাকলেও রাখা হয়েছে থুঁতনির নিচে। আর শারীরিক দূরত্বের বালাই নেই বাজার থেকে শুরু করে ফুটপাতে ও যানবাহনে। হাজার হাজার মানুষের চলাচলে বোঝা মুশকিল কঠোর লকডাউন চলছে?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, লকডাউন দিয়ে মানুষের চলাচল ঠেকানো যাচ্ছে না। যে কারণে আক্রান্ত বেড়েই চলেছে। এ জন্য আরও জোরালো পদক্ষেপ দরকার।

নগরের রিকাবি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, করোনার ভয় থাকলেও জীবিকার তাগিদে বাজারে আসতে হয়। আর নিয়মতো কেউই মানছেন না। নিজে থেকে যতটুকু মানার চেষ্টা করে যাই। অন্তত নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করি।

নগরের কোর্ট পয়েন্টের সিএনজি অটোরিকশা চালক দিলু মিয়া বলেন, গাড়ি বন্ধ থাকলে সংসার চলে না। রাস্তায় নামলেও পুলিশের ভয়, যদি গাড়ি আটকে দেয়। শুনেছি, গতকাল থেকে লকডাউন উঠিয়ে নিছে, তাই গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছি। যদিও জীবিকা নির্বাহ করতে আগে অলিগলি দিয়ে গাড়ি চালিয়েছেন বলেও জানান তিনি।  

এদিকে, চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশকে তল্লাশি চালাতে দেখা যায়। তবে মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন খুব কমই আটকাতে দেখা গেছে। যে কারণে কঠোর লকডাউনে নগরে গাড়ির চাপ বাড়ছে।

লকডাউন বিষয়ে সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহেরের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

তবে এসএমপি পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, নগরের ৬টি প্রবেশদ্বারে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। নগরের প্রায় অর্ধশত স্থানেও চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রমের মাধ্যমে যানবাহন আটক ও জরিমানা করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২১
এনইউ/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।