ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মে. জে. (অব.) ডা. এম এ মোহায়মেনের জীবনাবসান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২১
মে. জে. (অব.) ডা. এম এ মোহায়মেনের জীবনাবসান

ঢাকা: পূর্ব পাকিস্তান এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রণী সামরিক কার্ডিও-থোরাসিক সার্জন মেজর জেনারেল (অব.) ডা. এম এ মোহায়মেনের জীবনাবসান হয়েছে।

বুধবার (০৩ আগস্ট) বার্ধক্যজনিত জটিলতার কারণে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

মরহুমকে পূর্ণ সামরিক শবযাত্রার পর, গার্ড অব অনার স্যালুটসহ বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মেজর জেনারেল (অব.) ডা. এম এ মোহায়মেন ১৯৩৬ সালের ৫ ডিসেম্বর বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। সামরিক সার্জন হিসেবে তিনি আর্মি মেডিকেল কর্পস, পাকিস্তান আর্মি (১৯৫৯-১৯৭১) এবং আর্মি মেডিকেল কর্পস, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে (১৯৭৩-১৯৯৬) দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার কর্তৃক প্রণীত লিবিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব চুক্তির অংশ হিসেবে ওকবা-বিন-নাফে সামরিক হাসপাতালে, লিবিয়ার (১৯৭৫-১৯৭৯) ত্রিশ ডাক্তারের প্রতিনিধি দল হিসাবে কাজ করেন।

মোহায়মেন ১৯৬৫ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় কচ-এ যুদ্ধকালীন ফিল্ড সার্জন হিসেবে কাজ করেছিলেন, যার জন্য তিনি খিদমত-ই-পাকিস্তান এবং সিতারা-ই-হার্ব পদক পেয়েছিলেন। অথচ তার ঠিক ৬ বছর পরে পশ্চিম পাকিস্তানে আটকে পড়া শত শত বাঙালি অফিসারসহ তিনি বন্দিশিবিরে যুদ্ধবন্দী হয়ে পড়েন। অবশেষে ১৯৭৩ সিমলা চুক্তির পর তারা সবাই মুক্তি পান। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে সেবার জন্য তিনি পরবর্তীতে জয় পদক এবং সংবিধান পদক লাভ করেন।

ডা. এম এ মোহায়মেন সিএমএইচে ল্যাপ্রোস্কোপিক সার্জারি, অ্যাডভান্সড নিউরোসার্জারি, এন্ডোস্কোপিক জয়েন্ট সার্জারি, ইএনটি সার্জারির উন্নত মাইক্রোস্কোপিক পদ্ধতি এবং ছানির জন্য ফাকো সার্জারি চালু করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে সার্জন জেনারেল এবং মেজর জেনারেল পদে অবসর গ্রহণ করেন।

অবসর গ্রহণের পর তিনি জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, বাজিতপুর (১৯৯৬-২০১০), এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ, ঢাকা (২০১০-২০২০) এ সার্জারি পড়ান। তিনি পিতা মৌলভী এমদাদ আলীর প্রতিষ্ঠিত পটুয়াখালীর সুফিয়া খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

মেজর জেনারেল (অব.) ডা. এম এ মোহায়মেন স্ত্রী নিলুফার মোহায়মেন, দুই ছেলে জায়েদ মোহায়মেন এবং নাঈম মোহায়মেনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২১
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।