খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শিশুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সবিতা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সবিতার দূর সম্পর্কের আত্মীয় মোহন ত্রিপুরা তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বাড়ির অদূরে পাহাড়ের খাদের পানি থেকে সবিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আসামি মোহন ত্রিপুরা দীর্ঘদিন ধরে নিহত গৃহবধূ সবিতা ত্রিপুরাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। সবিতা রাজি না হওয়ায় বাড়ির অদূরে মোহন ত্রিপুরা তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ঝিরির (পাহাড়ের খাদ) পানিতে ডুবিয়ে তাকে হত্যা করেন। মৃত্যুর পর মরদেহ পাশের আরেকটি ঝিরিতে ফেলে পালিয়ে যান মোহন।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মুহাম্মদ আলী বলেন, শুরুর দিকে এই ঘটনার কোনো ক্লু ছিল না। পরিবারের পক্ষ থেকেও কাউকে সন্দেহ করা হয়নি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করতে যাই। পরে স্থানীয় পাঁচ বছরের এক শিশুকে জিজ্ঞাসা করলে জানায়, সে সবিতা ত্রিপুরার পেছন মোহন ত্রিপুরাকে যেতে দেখেছেন। ওই সূত্র ধরে তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামি আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় নিহতের বাবা ধন রঞ্জন ত্রিপুরা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছিলেন। পরে পুলিশ প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) মাটিরাঙ্গার গোমতি ইউনিয়নের মরাটিলা এলাকা থেকে মোহন ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২১
এডি/এমআরএ