ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ পৌষ ১৪৩১, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন: মো. জসিম উদ্দিন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২১
বঙ্গবন্ধুর বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন: মো. জসিম উদ্দিন 

ঢাকা: এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পর প্রথম বঙ্গবন্ধু যখন রাষ্ট্র পরিচালনার হাল ধরেন তখন বঙ্গবন্ধুর জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল।  
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, অর্থনীতির ভগ্ন অবস্থা, কলকারখানায় উৎপাদন বন্ধ, বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার দেশে বঙ্গবন্ধুর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য নীতিনির্ধারণ করা ও প্রায় ২০০ বছর ধরে অবহেলিত কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়ন এবং শিল্প ও বাণিজ্যকে পুনরুদ্ধার করা।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা: আগামীর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’  শীর্ষক ভার্চু্যয়াল সেমিনারের স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

 জসিম উদ্দিন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠনের পরপরই বঙ্গবন্ধু কৃষি উপকরণ, কৃষি গবেষণা, নতুন জাত উদ্ভাবন ও কৃষিখাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদিকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষিখাতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন। কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বাজেটে ৬০ শতাংশ পল্লী এলাকায় উন্নয়নের জন্য ব্যয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু প্রায় ২২ লাখেরও বেশি কৃষক পরিবারের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেন।


এফবিসিসিআই সভাপতি আরো জানান, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী কৃষিখাতের উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের আজ ১৩খাতে বিশ্বে প্রথম ১০টি স্থানে রয়েছে। কাঁচা পাট রপ্তানি এবং ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে ১ম, পাটপণ্য উৎপাদন, কাঁঠাল এবং ছাগল উৎপাদনে ২য়, মিঠা পানির মাছ ও সবজি উৎপাদনে ৩য়, চাল উৎপাদনে ৪র্থ, আলু উৎপাদনে ৬ষ্ঠ এবং আম ও পেয়ারা উৎপাদনে আমরা বিশ্বে ৮ম স্থানে রয়েছি।
তিনি আরো বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পপণ্য এবং পচনশীল কাঁচা সবজি, আলু, ফলমূল, ও বীজ জাতীয় ফসল দীর্ঘ সময় রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আধুনিক হিমাগার স্থাপনে দেশ এখনো পিছিয়ে আছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে এসব হিমাগার প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, এ সময় কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে ২ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে কৃষি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবেন। এর মাধ্যমে কৃষি বিপ্লব ঘটবে, কৃষকরা সরাসরি লাভবান হবে।
 
বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, আজকের কৃষির যতটুকুই উন্নয়ন, তার শুরু করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কৃষিতে ব্যাপক রূপান্তর ঘটাতে চেয়েছিলেন তিনি।  

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিঃ অ্যান্ড চ্যানেল আই-র ফাউন্ডার পরিচালক শাইখ সিরাজ এবং প্রাণ গ্রপের চেয়ারম্যান আহসান খাঁন চৌধুরী।

সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ১৮৩৫, আগস্ট ১২, ২০২১
এসই/এসআইএস


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।