নওগাঁ: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাল উৎপাদনকারী মিলার ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে যারা চুক্তিবদ্ধ চাল দিতে পারবেন না তাদের মিলের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে বগুড়ার সান্তাহার সিএসডি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাধন মজুমদার বলেন, ‘আগে শুল্কমুক্ত চাল আমদানি হয়েছে বলেই চালের দাম কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে সাড়ে ৬২ শতাংশ শুল্কে চাল আমদানি করতে হয়। আমরা যেমন কৃষক বাঁচাতে চাই, তেমনি নিম্ন আয়ের ভোক্তাকেও সুবিধা দিতে চাই। তাই বলে ২০১৮ সালের হিসেবে চাল খেতে চাইলে হবে না। আঠারো সালের হিসেবে চাল খেতে চাইলে আবারও শুল্কমুক্ত চাল আমদানি করতে হবে। তখন বাজারে ধানের দাম ৫০০-৭০০ টাকায় নেমে যাবে। কৃষক মরে যাবে। সরকার কৃষক ও নিম্ন আয়ের ভোক্তা উভয়কেই বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ’
মন্ত্রী বলেন, সরকারি সংগ্রহে বেশি মজুদ আছে বলেই সেপ্টেম্বর থেকে বিশেষ ওএমএস চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ সময় রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুখ হোসেন পাটওয়ারীসহ খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২১
এনটি