খাগড়াছড়ি: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধি-নিষেধের পাশাপাশি নতুন শর্তসাপেক্ষে পর্যটনকেন্দ্র খোলা হবে।
সরকারের এ সিদ্ধান্তে খুশি খাগড়াছড়ি পর্যটন শিল্প নির্ভর হাজারও মানুষ। বর্তমানে পর্যটক গ্রহণে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
পর্যটনকেন্দ্রিক বিপণিবিতানগুলো সাজানো হচ্ছে। জোরেশোরে চলছে হোটেল-মোটেল ও পর্যটনকেন্দ্র পরিষ্কারের কাজ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর সারা দেশ থেকে পর্যটকরা হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং দিচ্ছেন। তাদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
তারা জানান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় আবাসিক হোটেল-মোটেলের ৪ হাজার শ্রমিক, পর্যটক গাইডসহ পরিবহন শ্রমিকরা মানবেতর জীবন পার করেছেন।
এদিকে মানুষের পদচারণা না থাকায় খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে অন্যরকম। প্রকৃতি যেন আগের চেয়ে শান্ত ও নির্মল হয়ে উঠেছে। ফুটেছে বাহারি রঙের ফুল।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহামারি করোনায় খাগড়াছড়ির পর্যটন শিল্পের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক একে এম রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ ১৮ মাস পর্যটনখাত বন্ধ ছিল। এতে প্রায় দুই কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে সবার মধ্যে আশা সঞ্চারিত হবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বাংলানিউজকে বলেন, খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় এ খাত নির্ভর হাজারও মানুষ কাজ হারিয়েছেন।
সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের পদচারণা না থাকায় প্রকৃতি তার রূপের পসরা সাজিয়ে রেখেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের খাগড়াছড়ি ভ্রমণের অনুরোধ জানান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন>>বৃহস্পতিবার থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
এডি/এএটি