ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

যারা গণশত্রু তারাই গণমাধ্যমের শত্রু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
যারা গণশত্রু তারাই গণমাধ্যমের শত্রু

ঢাকা: সাবেক তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড.আবু সাইয়িদ বলেছেন, যারা গণশত্রু তারাই গণমাধ্যমের শত্রু। আবার এই গণশত্রু তারাই যারা সমগ্র রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করতে চায়, যারা সরকার ব্যবস্থাকে কেন্দ্রীভূত করতে যায় এবং লুটতরাজের ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

 
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন। বুধবার (১৮ আগস্ট) সিজিএস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

‘গণমাধ্যমের শত্রু-মিত্র’ শীর্ষক দুই ঘণ্টাব্যাপী এই ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, আমাদের নতুন সময়- এর প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, দি ফাইন্যান্সিয়াল হেরল্ডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দীকি, আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল এবং সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী। আলোচনা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন,  যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না, সে দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও থাকে না। আমাদের সংবিধানে বাক স্বাধীনতার কথা উল্লেখ থাকলেও কেউ সেটা মানছে না।  

আমাদের নতুন সময়ের প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্র এখন বহুমাত্রিক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই সংকটগুলো সমাধানের কোনো উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে না।

আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গণতন্ত্রের বিকল্প নেই উল্লেখ করে বলেন, গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা জনগণের কাছে। বিশ্বের উন্নত গণতন্ত্রের দেশগুলোতে যেখানে গণমাধ্যমের মালিকানার সীমাবদ্ধতা বিরাজমান সেখানে আমাদের দেশে ছত্রাকের মতো মালিকানা নিয়ে গণমাধ্যম বেড়েই চলেছে। এই বিষয়ে আলোচনার দরকার।  

দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দীকি সরকার এবং আমলাতন্ত্রকে গণমাধ্যমের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে কোনো নিরপেক্ষ পত্রিকা নেই, কেননা প্রতিটি গণমাধ্যমই সরকারি বা সরকার দলীয়-বিরোধী দলীয় ব্যক্তিদের মালিকানাধীন। ফলে সরকারের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরতে তারা ব্যর্থ হয়।  

দি ফাইন্যান্সিয়াল হেরল্ডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ আইনগুলোর কথা উল্লেখ করে বলেন, ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের খড়গ এখনো আমাদের গণমাধ্যমগুলোর মাথার ওপর ঝুলছে, যেটি আমরা উপলব্ধি করি সাংবাদিক রোজিনা গ্রেফতারের পর।  
সিজিএস’র চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী গণতন্ত্রের শত্রুদের গণমাধ্যমের শত্রু বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেই সবাই তড়িৎগতিতে সংবাদ পেয়ে যাচ্ছে। এমন প্রতিযোগিতার যুগে সংবাদপত্রের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮,২০২১
টি আর/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।