ঢাকা: বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় প্রয়োজনে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে এ ঘটনাটি ভুল বুঝাবুঝি বলেও মনে করেন তিনি।
রোববার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ ঘটনায় মন্ত্রণালয় থেকে কোনো তদন্ত করছেন কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনের সাপেক্ষে তদন্ত অবশ্যই করা হবে। সবকিছুই তদন্ত করা হবে। সিটি করপোরেশন যেমনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রত্যেককেই দায়িত্ব পালন করার জন্য সুযোগ করে দিতে হবে, নিজ নিজ মর্জাদার প্রতি সম্মান করে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি করা হয়নি-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে যেহেতু মামলা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করবে। আমাদের পক্ষ থেকে যদি তদন্ত করার দরকার, সেটা আমরাতো বিভিন্নভাবেই করি। আমার মনে হয় আপনারা নিশ্চয়ই চাইবেন না যে, আমরা আমাদের কাজ কি করি, সেটা পুঙ্খানুপুঙ্খ এ মুহুর্তে আপনাদের বলে ফেলি। কাজটি একটি ফলাফল আকারে এলে তখন হয়তো আপনারা জানবেন। আপনারা চান যে সমস্যাগুলো নিরসন হোক, ভুল বুঝাবুঝি না থাকুক, আমরাও চাই। আমি মনে করি উভয়েই দায়িত্বশীল। তাদের নিজ নিজ দায়িত্ববোধের কারণে এ সমস্যা নিরসন হবে।
প্রশাসন ক্যাডারদের সংগঠন থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, এতে করে কি মনে হয় রাজনীতিবিদদের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, না, আমি একেবারেই মনে করি না। মত পার্থক্য থাকতে পারে, এটা থাকবেই। পরিবারের ভেতরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেমনি মতপার্থক্য থাকে, বাবা-সন্তানের মধ্যেও মত পার্থক্য থাকে। আমরা যারা কাজ করি, আমার অধীনস্থদের সঙ্গে আমার যেভাবে কথায় মত পার্থক্য থাকে, আবার আমরা একসঙ্গে কাজও করি।
তিনি বলেন, কখনো-কখনো একটা বিষয়ে আমি এক রকম মনে করি, আবার আরেকজনে আরেক রকম মনে করেন। সময়ের ব্যবধানে আমরা আবার উভয়েই ঐক্যমতে পৌঁছাই। ঘটনাটি এখন বেশি মাত্রায় নেই, এটি সমাধানের দিকে চলে যাচ্ছে বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রসঙ্গত, বরিশালে বুধবার (১৯ আগস্ট) রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, ওই রাতে সদর উপজেলা ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, শ্রমিক ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় গুলির ঘটনায় আহত হন অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস