ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পাওনা টাকা না পেয়ে গলা ও পা কেটে হত্যা করা হয় দেলোয়ারকে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২১
পাওনা টাকা না পেয়ে গলা ও পা কেটে হত্যা করা হয় দেলোয়ারকে

কুমিল্লা: পাওনা টাকা দিতে দেরি হওয়ায় দেলোয়ার হোসেনকে (২৮) পা ও গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে পিবিআইকে জানিয়েছে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা লক্ষ্মণ চন্দ্র শীল।

রোববার (২২ আগস্ট) জেলার মনোহরগঞ্জের চিতোষী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), কুমিল্লার সদস্যরা।

 

পরে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মোবাইল ফোন ও হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পিবিআই।

সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

গ্রেফতার লক্ষ্মণ কুমিল্লা সদর উপজেলার আমতলী এলাকার মৃত নিখিল চন্দ্র শীলের ছেলে। কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার সেনা মিলনায়তন মার্কেটে লক্ষ্মণ হেয়ার কাটিং নামে তার সেলুন রয়েছে।  

শুক্রবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সেলুনের ভেতর থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দেলোয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের জাহের আলীর ছেলে। পেশায় তিনি ভাঙারি ব্যবাসায়ী ছিলেন।


পিবিআই পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, দেলোয়ার বিভিন্ন সময় লক্ষ্মণ চন্দ্র শীলের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা পরিশোধ না করে উল্টো টালবাহানা করছিলো সে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে দেলোয়ারকে হত্যা করে লক্ষ্মণ। হত্যাকাণ্ডের পর সে চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়িয়েছে। সর্বশেষ রোববার সকালে চিতোষী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লক্ষ্মণ ঘটনার বিস্তারিত স্বীকার করেছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের মোবাইল ফোনসহ হত্যায় ব্যবহৃত অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার বলেন, ঘাতক লক্ষ্মণ আমাকে অকালে স্বামীহারা করেছে। আমার সন্তানদের এতিম করেছে। আমি তার ফাঁসি চাই।

জানা যায়, ময়নামতির ফরিজপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন দেলোয়ার। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় আনুমানিক ১১টার দিকে স্ত্রী তাকে কল দিলে দেলোয়ার জানায়, সে লক্ষ্মণের সেলুনে আছে। একটু পর বাসায় ফিরবে। কিন্তু তারপরও বাসায় না পফেরায় রাত ১টায় ফের কল দিলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। শুক্রবার সকালে কোথাও তাকে খুঁজে না পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরবর্তীতে পরিবারের সন্দেহ হলে তারা শুক্রবার রাতে সেলুন দোকানের তালা ভেঙে দেখেন বস্তার ভেতর দেলোয়ারের রক্তাক্ত মরদেহ।  

পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় লক্ষ্মণকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলো আসামি লক্ষ্মণ। ঘটনার শুরু থেকে হত্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করে পিবিআই। পরে মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।