ঢাকা: প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
রোববার (২২ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান এ তথ্য জানান।
শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে হাসান আজিজুল হককে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ২২০ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়।
এর আগে শনিবার সকালে তাকে রাজশাহী থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় এনে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামালাউদ্দিনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
হাসান আজিজুল হকের ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান বাংলানিউজকে জানান, ইলেক্ট্রোলাইট ইম্ব্যাল্যান্স তার বাবার প্রধান সমস্যা। হার্টের সমস্যাও রয়েছে। পড়ে গিয়ে তিনি কোমরেও আঘাত পেয়েছিলেন। সঙ্গে আছে ডায়াবেটিস।
হাসান আজিজুল হক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে অধ্যাপনা করেন। ১৯৬০ এর দশকে তিনি কথাসাহিত্যিক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন তার মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য। জীবনসংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তার গল্প-উপন্যাসের প্রধানতম অনুষঙ্গ।
১৯৭০ সালে হাসান আজিজুল হক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ও ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। সার্বজৈবনিক সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৮ সালে তাকে একটি বেসরকারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধি দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে তার প্রকাশিত উপন্যাস ‘আগুনপাখি’, ২০১৩ সালে ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’ এবং ২০১৫ সালে প্রকাশিত ‘শামুক’ তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। ছোটগল্প ও কথাসাহিত্যের অন্যান্য ক্ষেত্রেও হাসান আজিজুল হকের অবাধ বিচরণ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২১
ডিএন/এমজেএফ