রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে গত আটদিন ধরে পদ্মার পানি বাড়ছে। এতে জেলার ১১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় সাড়ে সাত হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর তীরবর্তী অংশে রয়েছে রাজবাড়ীর চারটি উপজেলা। প্রতি বছর নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হয় এসব উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এ বছর পাংশার হাবাসপুর, বাহাদুরপুর, কালুখালীর কালিকাপুর, রতনদিয়া, রাজবাড়ী সদরের চন্দনী, খানগঞ্জ, মিজানপুর, বরাট, গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া এবং গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধিতে বালিয়াকান্দির নারুয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে রাজবাড়ী সদরের মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশনের পয়েন্টে পদ্মার পানি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক জানান, রোববার পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৫১৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদরে ১ হাজার ১০০টি, পাংশায় ১ হাজার ২৩০টি, গোয়ালন্দে ১ হাজার ৯৫০টি, কালুখালীতে ৩ হাজার ২০০টি ও বালিয়াকান্দিতে ৩৫টি পরিবার পানিবন্দি। তাদের জন্য ৭৩ দশমিক ২৫ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৬৭ হাজার টাকা এবং ৩৩৩-নম্বরের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৪৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
এসআই