ঢাকা: ‘বাঙালি জাতিকে বিশ্বসভায় আত্মপরিচয় নিয়ে চলার পথ তৈরি করে দেওয়া তথা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, লাল-সবুজের পতাকা, ১৯৭২ এর সংবিধান দিয়ে গেছেন বিশ্ববরেণ্য ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলার বন্ধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তাঁর রাজনীতি ও আন্দোলনের মূল দর্শন’।
সোমবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে সংসদ ভবনের শপথকক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আজ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত। দুঃখের বিষয়, বিশ্বের ইতিহাসের জঘন্যতম ও নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘ সময় এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে, যার মূল উদ্দেশ্য জাতির পিতার আদর্শ, দর্শন ও চেতনাকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং পরিচালক তারিক মাহমুদ ও উপ পরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ আতিকুর রহমান, হুইপ ইকবালুর রহিম, জাতীয় শোক দিবস আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক উপসচিব এস এম মঞ্জুর কবিতা আবৃত্তি করেন, সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি উপসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সহকারী সচিব আসিফ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের উজ্জ্বল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদোশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
এসকে/এএটি