গাজীপুর: অধিগ্রহণ ছাড়াই ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ওপর থাকা দোকান ভাঙচুর করে জোড়পূর্বক সড়ক নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিক মো. জাকির খাঁ বাইমাইল এলাকায় সংবাদ সন্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
জমি মালিক জাকির খাঁ বলেন, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২৪ শতাংশ সম্পত্তি আমার এবং স্থানীয় কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্তদের। জমির ক্ষতিপূরণ পাইতে ৪ বছর আগে গাজীপুর জেলা প্রশাসেকের কাছে আবেদন জানাই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ২০১৭ সালের শুরুর দিকে জটিলতা নিরসনে সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে চিঠি দেয়। এতে সওজ, সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপকের দপ্তর সারা দেয়নি। এরপর অধিগ্রহণ ছাড়া রাস্তা নির্মাণ ঠেকাতে ৪ বছর আগে গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে সীমানা নির্ধারণী মামলা দায়ের করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তরে শুনানির নির্ধারিত তারিখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রমাণাদিসহ উপস্থিত হয়নি সাসেক প্রকল্পের কোনো প্রতিনিধি। দীর্ঘদিন পর পর শুনানির দিন ধার্য করে এতে চার বছর ধরেই হয়রানির শিকার হচ্ছি। এ অবস্থায় কাজ চলমান থাকায় ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তিনি সংবাদ সন্মেলনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক সমর চন্দ্র সরকার, হাজী মো. ইউনুছ লাব্বু মিয়া ও রবিউল আলম প্রমুখ।
গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া তাবাসসুম বলেন, এখানে নতুন যোগ দিয়েছি বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে নথিপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহানা ফেরদৌস জানান, ওই সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর কোনো চিঠি পাইনি। জেলা প্রশাসক অথবা সহকারী কমিশনার ভূমি যদি কোনো চিঠি দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা সেখানে উপস্থিত থাকবো। এছাড়া বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২১
আরএস/আরআইএস