ঢাকা: স্বধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খানকে
দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে তাকে দেখতে যান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান। তিনি বর্তমানে কার্ডিওলজিস্ট ডা. কায়সার নাসিরুল্লাহর অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তোয়াব খান সাংবাদিকতায় একটি প্রতিষ্ঠান। তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৫ সালে। পরে ১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন আর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে তার লেখা ও পাঠ করা ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার পক্ষের প্রতিটি বাঙালিকে প্রেরণা জোগাত।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তোয়াব খান যোগ দেন দৈনিক বাংলায় (অধুনা লুপ্ত দৈনিক পাকিস্তান)। ১৯৭২ সালে তিনি এই পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে ট্রাস্ট পরিচালিত পত্রিকাটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠে। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এবং প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন। আবার ফিরেছিলেন সাংবাদিকতায়, দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে। কিন্তু ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসা খালেদা জিয়ার সরকার তাকে চাকরিচ্যুত করে। তিনি যোগ দেন আধুনিক ধারার দৈনিক জনকণ্ঠে।
১৯৯৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খানের নেতৃত্বে আধুনিক সংবাদপত্রের ধারণা নিয়ে যাত্রা শুরু করে দৈনিক জনকণ্ঠ। একই সময়ে দেশের পাঁচ বিভাগ থেকে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়ে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস