ঢাকা: বিশ্বের উন্নত শহরগুলোর মতো রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাইকেলচালকদের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাড়ে নয় কিলোমিটার সাইকেল লেন তৈরি করা হবে।
রাজধানীর আগারগাঁও এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সরেজমিন দেখা যায়, আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উত্তর পাশ থেকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবন পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে সাইকেল লেন। এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত।
আগারগাঁওয়ের সাইকেল লেনের অনেক জায়গায় আবর্জনা দেখা গেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সামনে সাইকেল লেনের প্রবেশপথ বন্ধ করে রাখা হয়েছে একটি কন্টেইনার রেখে। এর বিপরীত পাশের বাংলাদেশ পর্যটক কর্পোরেশন ভবনের সামনের লেনের জায়গা দখল করে বসেছে চায়ের দোকান। জাতীয় রপ্তানি ভবনের সামনে ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবনের সামনের লেনে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবনের সামনের লেনে দু’টি স্থানে প্লাস্টিকের বেরিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। আগারগাঁও এলাকার সাইকেল লেনের পাশে বসে বহিরাগত ছেলেমেয়েদের আড্ডা দিতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পথচারী বাংলানিউজকে বলেন, অযত্নে-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সাইকেল লেন। সাইকেল লেন দিয়ে সাইকেল চলাচল করে না। বেশিরভাগ সময় এলাকাবাসী ও বহিরাগতদের দলবেঁধে আড্ডা মারতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পরে এখানে কিছু মোড়ে বসে মাদকের আড্ডা। সাইকেল লেনে নেই সাইকেল চালানোর মতো পরিবেশ।
আগারগাঁও এলাকার চা দোকানদার মো. আক্কাস মিয়া বলেন, সাইকেল লেন দিয়ে সাইকেল খুব কম চলাচল করে। ভোরবেলা আর বিকেলবেলা কিছু সাইকেল চলাচল করে। এছাড়া বাকি সময় এলাকাবাসী আর বাইরের লোকজনেরা এখানে আড্ডা দেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সাইকেল লেন ডিএনসিসির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত। সাড়ে নয় কিলোমিটার সাইকেল লেন তৈরির কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র ৯০০ মিটার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবন পর্যন্ত। এখনো সাইকেল লেনের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়নি। কিছু কাজ বাকি আছে। অবশিষ্ট কাজেরও টেন্ডার হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে সাইকেল লেন উদ্বোধন হওয়া পিছিয়ে গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর বলেন, লেনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান প্রায়ই চালানো হয়। একদিক থেকে উচ্ছেদ করি, অন্যদিক থেকে এসে বসে পড়ে। সাইকেল লেনটি তৈরি করা হচ্ছে পার্কের আদলে। এখানে অফিস আওয়ার শেষে সাইকেল চালাতে পারবেন সবাই। মানুষ এখানে ঘুরতে ও হাঁটতে আসতে পারবেন। এভাবে চিন্তা করেই সাইকেল লেন তৈরি করা হচ্ছে। লেনে কিছু দোকানপাট বসায় পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মেয়রকে জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে কেউ সাইকেল চালাতে চাইলে চালাতে পারবেন। কিন্তু এখন কেউ চালান না।
ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ড. তারিক বিন ইউসুফ বাংলানিউজকে বলেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে যিনি ছিলেন, তিনি বিদেশে চলে যাওয়ায় আমাকে এ পদ দেওয়া হয়েছে। আমি এ বিষয়ে কম জানি। আমি এ প্রজেক্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক হাসান মো. আল মাহমুদের সঙ্গে কথা বললে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২১
এমএমআই/এসআই