ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে এক নারী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে তার পারিবারিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে বার্তা পাঠান। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে স্ত্রী ফিরে পান তার স্বামীকে সন্তান ফিরে পান তার বাবাকে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক প্রেসনোটে মাধ্যমে এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স)মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই নারী বার্তায় লিখেন, নয় বছর আগে প্রেম করে এক ছেলেকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে। তার বাবা নেই।
বিধবা মায়ের কাছে ফেলে রেখেছে তাকে। পাঁচ বছর বয়সের একটি মেয়ে ছিল। সেও মারা গেছে। দুই বছর বয়সের একটি ছেলে আছে এখন। দীর্ঘদিন তার স্বামী ও তার পরিবার বাচ্চা ও তার কোনো খোঁজখবর নেয় না।
তার মায়ের এক কাঠার মতো ছোট্ট একটি জমি আছে গেন্ডারিয়ায়। সেখানে ঘর তুলে থাকে মায়ের সঙ্গে। অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এই জমিটি বিক্রি করে টাকা দিতে বলে স্বামী ও তার পরিবার। স্বামীর পরিবার স্বচ্ছল। তবুও, তার মায়ের কাছে টাকা চায়।
তিনি আরো লিখেন, নানা জায়গায় ও নানা জনের কাছে সাহায্য চেয়ে তার সমস্যার সমাধান হয়নি। স্বামীর পরিবার বলেছে, যতো পারো পুলিশের কাছে যাও, আদালতে যাও। দেখা যাবে। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে তিনি মেসেজ পাঠিয়েছেন। তবে তিনি স্বামীকে ফিরে পেতে চান, কোনো মামলায় জড়াতে চায় না।
তার স্বামীর বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায়। ওই নারীর স্বামী ওই গ্রামেই থাকেন। তার বার্তা পেয়ে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার (ওসি) মো. আতাউর রহমানকে বার্তাটি পাঠিয়ে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।
এর প্রেক্ষিতে, উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সক্রিয় অংশগ্রহণে বিষয়টির পারিবারিক সমাধান হয়।
উল্লেখ্য, উক্ত নারীকে থানায় বা কোথাও যেতে হয়নি। তাকে তার বাসা থেকে অনলাইনে যুক্ত করেছে পুলিশ। স্বামী ও তার পরিবারকে জানানো হয়েছে, উক্ত নারী ও তার সন্তানের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন ও তার বাস্তবায়ন করতে। তা না হলে, অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হওয়ায় এবং সম্মানজনকভাবে তার সংসার ফিরে পাওয়ায় ওই নারী বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ১১০৬, আগস্ট ২৭, ২০২১
এজেডএস/এসআইএস