ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

টাঙ্গাইলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
টাঙ্গাইলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল জেলায় যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে টাঙ্গাইলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে।

নতুন করে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।

টাঙ্গাইল পাউবো জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বেড়ে ৩৫ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের কচুয়া, চগোপাল, মালতিপাড়া, সাতানী হুগড়া ও কাশিনগর, মাহমুদনগর ইউনিয়নে ডুবাই, বেথর, খারজানা, মাখরখৈাল ও কাকুয়া ইউনিয়নে রাঙ্গাচিরা, পৌলি, কালিকৈটিল, মইসা ও ওমরপুর প্লাবিত হয়েছে।

কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমার ইউনিয়ন যমুনা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় প্রতি বছরই যমুনার ভাঙনের শিকার হয়। এ বছরও হাট-বাজার থেকে শুরু করে শতশত ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।  

ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই পানি ঢুকেছে উল্লেখ করে ইউপি চেয়ারম্যান জিন্নাহ বলেন, শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ মুহূর্তে তাদের পাশে থাকার জন্য সব মহলের প্রতি আবেদন জানান তিনি।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনাসহ সব নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে জেলা সদর, কালিহাতী, দেলদুয়ার, নাগরপুর, ভূয়াপুর, মির্জাপুর ও বাসাইল উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।