সিরাজগঞ্জ: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। জেলার সব পয়েন্টেই যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৬৯ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১৩.৩৫ মিটার)। কাজিপুর পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে (বিপৎসীমা-১৫.২৫ মিটার)। অপরদিকে বাঘাবাড়ি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮০ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১০.৪০ মিটার)।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ, খন্দকার সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, সিরাজগঞ্জের সব পয়েন্টেই যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানি বাড়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পানি বাড়বে বলে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে।
এদিকে যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ, ফুলজোড়, করতোয়া, ইছামতি ও বড়াল নদীর পানিও বাড়ছে। সব নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চলের ফসলের মাঠগুলো তলিয়ে গেছে। একেবারে নিচু এলাকাগুলোর বাড়িঘরেও পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
সিরাজগঞ্জ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হানিফ জানান, গত কয়েকদিনে অব্যাহত পানি বাড়ার ফলে নিম্নাঞ্চলের ৪ হাজার ৩৬২ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে রোপা আমন, বোনা আমন, আগাম সবজি, আখ বীজতলা ও বাদাম রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, এখনও ঘরবাড়িতে পানি ওঠার খবর পাওয়া যায়নি। বন্যাকালীন দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সাড়ে ৫শ টন চাল ও নগদ আড়াই লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। এছাড়াও উপজেলাগুলোতে মোট ১২৫ টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ১ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২১
আরএ