বরিশাল: সুগন্ধা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠী এলাকার একটি সড়কের একাংশ। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।
বর্তমানে সেখানে বাহেরচর এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসী সড়কের পাশে নাল জমি দিয়ে চলাচল করছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাবুগঞ্জের রাকুদিয়া-আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ-বাহেরচর-চরসাধুকাঠী মাদ্রাসা-লাশঘাটা পর্যন্ত পাকা সড়কটির দৈর্ঘ্য ৮ কিলোমিটার। সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)।
গত ২৭ আগস্ট বিকেলে এবং ২৮ আগস্ট সকালে দুই দফায় সড়কের অন্তত ৫০০ ফুট জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে কেদারপুর ও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের বাসিন্দারা সড়ক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের একাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। বর্তমানে ওই এলাকা দিয়ে যানচলাচলসহ যাতায়াত বন্ধ। জরুরি প্রয়োজনে নালজমি দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে।
দেহেরগতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বলেন, এর আগে ক্ষুদ্রকাঠী এলাকায় ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ (বালুভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ফেলেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে তীর সংরক্ষণের দাবি জানান তিনি।
এলজিইডির বরিশাল বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পাউবো সুগন্ধা নদীর ক্ষুদ্রকাঠী অংশে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুনর্নিমাণের উদ্যোগ নেবে এলজিইডি। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ওই এলাকায় একটি বিকল্প সড়ক করার কথা রয়েছে।
পাউবো বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বাংলানিউজকে বলেন, এবার নদী ভাঙন তীব্র হয়েছে। এ কারণে সড়কের একটি অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। বিষয়টি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি জিও ব্যাগ ফেলে নদীর ওই অংশে ভাঙন প্রতিরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২১
এমএস/আরআইএস