ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে ১৭ দিন ধরে পানিবন্দি ২৫০ গ্রাম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১
ফরিদপুরে ১৭ দিন ধরে পানিবন্দি ২৫০ গ্রাম ছবি: বাংলানিউজ

ফরিদপুর: ফরিদপুরে ১৭ দিন ধরে পানিবন্দি রয়েছে ২৫০ গ্রাম। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ওই গ্রামের মানুষজন।

 

এদিকে, ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ফরিদপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার ২৫০ গ্রামের মানুষ ১৭ দিন ধরে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।  

ভেঙে গেছে সড়ক। ক্ষতি হয়েছে ফসলের। ওইসব এলাকাসহ মধুখালী ও আলফাডাঙ্গার টগরবন্দ ইউনিয়নেও দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। চাহিদার তুলনায় ত্রাণ তৎপরতা তেমন চোখে পড়ছে না।

জানা গেছে, ফরিদপুর সদরের তিনটি, চরভদ্রাসনের চারটি, সদরপুরের দু’টি এবং ভাঙ্গার একটি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে মধুখালী ও আলফাডাঙ্গার টগরবন্দ ইউনিয়নে।

এই ১০ ইউনিয়নের ২৫০ গ্রামের ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নে পানিবন্দি মানুষ বেশি। এখানের ১ হাজার ৮০০ পরিবার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে।

ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, পানিতে আমার ইউনিয়নের ১০০ একর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নে তিনটি সড়কের বিশাল অংশ পানির তোড়ে ধসে গেছে।

বন্যাদুর্গতদের মধ্যে যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে তা অপর্যাপ্ত বলে জানান সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা। সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ৭৫০ পরিবারকে শুকনো খাবার এবং ২৬ বস্তা গো-খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া চরমাধবদিয়াতে দে ১০০ জনকে ওয়া হয়েছে শুকনো খাবার ও ১০ বস্তা গো-খাদ্য।  

অন্যদিকে, ডিক্রিরচর ইউনিয়নে ৬৫০ জনকে শুকনো খাবার ও ২০ বস্তা গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। চরভদ্রাসনের চর ঝাউকান্দায় ২০০ পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। নাসিরাবাদে বিতরণ করা হয়েছে ৭৫০ জনকে শুকনো খাবার ও ২৬ বস্তা গো-খাদ্য।

চরভদ্রাসনের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বাড়ির চারপাশে থৈ থৈ পানি। ঘরে পানি ঢুকে গেছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘরে চৌকি উঁচু করে থাকছি। পানি এভাবে বাড়তে থাকলে ঘরের চৌকিতেও থাকতে পারব কি-না সেই চিন্তায় আছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও তিন-চারদিন পানি বাড়তে থাকবে। উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ভাঙনরোধেও।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।