টাঙ্গাইল: প্রধান প্রধান নদ-নদীতে পানি আরও বাড়ায় টাঙ্গাইলে বন্যা পরিাস্থতির আরও অবনতি হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে নদী ভাঙন।
ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুইশতাধিক গ্রামের দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। এছাড়া প্রবল স্রোতে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমিসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাট।
সরেজমিনে জেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, মির্জাপুর, বাসাইল উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। তলিয়ে গেছে পাঁচ শতাধিক হেক্টর ফসলি জমি। দেড় লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দেখা দিয়েছে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো খাদ্য সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন বন্যাকবলিতরা।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, যমুনা, ধলেশ্বরীসহ অন্যান্য নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় ৮০ কিলোমিটার অংশে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরু করা হবে।
তিনি জানান, যমুনাসহ বিভিন্ন নদীতে পানি আরও এক সপ্তাহ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলানিউজকে জানান, তার এলাকায় একযোগে বাড়ছে ভাঙন, আর পানি। বাড়িঘরসহ যমুনা নদীর পাড়ে যেসব স্থাপনা রয়েছে সেগুলো হুমকির মধ্যে আছে।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বাংলানিউজকে জানান, সরকারিভাবে ভাঙন কবলিত কিছু কিছু এলাকায় নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বৈরবাড়ী গ্রামে ৫০টি পরিবার ও গোয়ালিয়া বাড়ি ইউনিয়নের আফজালপুর গ্রামে ৫১টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও প্রত্যেক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে এ পর্যন্ত মোট পাঁচ লাখ ৫ হাজার টাকা নগদ সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
এমএমজেড