পঞ্চগড়: যেকোনো বিভাগ বা অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষেরা তাদের সমস্যা ওই বিভাগের কর্মকর্তাদের জানাতে পারে। তবে যদি সেই অভিযোগ কেন্দ্রটি সাধারণ মানুষের অভিযোগ নেওয়ার পরিবর্তে স্টাফদের রেস্ট হাউস করা হয় তবে!
এমনি এক ঘটনা ঘটেছে দেশের উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ে।
নেসকোর অফিস স্টাফরা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, অভিযোগ কেন্দ্রের পরিবর্তে অফিসে অভিযোগ নেওয়া হয়। আর জনবল সংকটের কারণে উদ্বোধনের পর থেকেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি অভিযোগ কেন্দ্রটি। অবহেলা ও অযত্নে পরে থাকার কারণে অভিযোগ কেন্দ্রে কর্মীদের রেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ৩০ অক্টোবর পঞ্চগড় বিদ্যুৎ সরবরাহের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিক। এরপর পুরোপুরি ভাবে কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য রেগুলেটরি কমিশন থেকে লাইসেন্স পায়। ২০১৬ সালের ১ আগস্ট বিপিডিবির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং ১ অক্টোবর থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণের কাজ শুরু করে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে নাম পরিবর্তন করে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) রাখা হয়।
পঞ্চগড় বিদ্যুৎ অফিসের উচ্চমান সহকারী (বড়বাবু) মইনুদ্দিন বলেন, ১৪ বছর ধরে এই অফিসে কাজ করে আসছি। জনবল সংকট অভিযোগ কেন্দ্রটির মূল সমস্যা। তবে কেন্দ্রটি চালু না থাকলেও আমরা অফিসে সকল ধরনের অভিযোগ নিয়ে সেবা দিয়ে আসছি।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় বিদ্যুৎ অফিস নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী (অতি.) আতিফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ কেন্দ্রের ওই রুম লাইন ম্যান, আনসাররা ব্যবহার করে। আমরা আমাদের কন্ট্রোল রুমে সব অভিযোগ নিয়ে থাকি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
কেএআর