ঢাকা, রবিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মোটরসাইকেল কেনার টাকা যোগাতে অপহরণ-খুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১
মোটরসাইকেল কেনার টাকা যোগাতে অপহরণ-খুন

ঢাকা: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর শিশু আল-আমিন হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- হৃদয় হোসেন (২০), সাদ্দাম হোসেন (১৯) ও নাজমুল হোসেন (১৬)।

পিবিআই মানিকগঞ্জ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাজনৈতিক নেতাদের নজরে আসতে নিজেদের মোটরসাইকেল থাকার প্রয়োজন বোধ করেন ওই তিন তরুণ। সামর্থ্য না থাকলেও মোটরসাইকেল কেনার টাকা যোগাতে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী শিশু আল-আমিনকে (৭) অপহরণের পর খুন করেন তারা।

তিনি জানান, ২৮ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে শিশু আল-আমিন বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তায় বাইসাইকেল চালানোর জন্য বের হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা সময় গেলেও শিশুটি বাড়িতে ফিরে না আসায় তার মা খোঁজ শুরু করেন। পরবর্তীসময়ে ছেলেকে না পেয়ে বাবা শহিদুল ইসলাম ২৯ আগস্ট সিংগাইর থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। পরে ৩১ আগস্ট সকালে বেরুন্ডি গ্রামে পরিত্যক্ত একটি ভিটা থেকে আল-আমিনের মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা।

পিবিআই কর্মকর্তা আরও জানান, অর্থ উপার্জনের জন্য যে কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার পরিকল্পনা করেন তারা। এজন্য প্রথমে এলাকার বাসিন্দা রুপমের ছেলে রোহান ও তোতা মিয়ার ছেলে রহমতের মধ্যে যেকোনো একজনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। কিন্তু রাস্তায় আল-আমিনকে পেয়ে গেলে তাকেই অপহরণ করেন তারা। গ্রেফতার হৃদয় প্রথমে আল-আমিনকে বন্যার পানি দেখানোর কথা বলে সাপের ভিটা এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে নাজমুল আগেই অবস্থান করছিল। তারা দু’জন প্রথমে আল-আমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে মরদেহ ঢুকিয়ে রাখে।

তিনি জানান, তাদের পরিকল্পনা ছিল শিশুটিকে হত্যার পর নতুন সিম থেকে শিশুর স্বজনদের ফোন দিয়ে মুক্তিপণ আদায় করবে। কিন্তু ঘটনার দিন নতুন সিম সংগ্রহ করতে না পারায় আল-আমিনের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি সাদ্দাম। এদিকে, মুক্তিপণ চাওয়ার আগেই স্থানীয়রা শিশুটির মরদেহ পেয়ে যাওয়ায় এলাকা ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা।

এম কে এইচ জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, গ্রেফতাররা পালানোর জন্য প্রথমে মানিকগঞ্জ থেকে সাভারের একটি হোটেলে ওঠে। পরে ভারতে পালানোর জন্য যশোরের বেনাপোল সীমান্তে চলে যান। তবে ভারতে পালাতে ব্যর্থ হলে রাজবাড়ীতে চলে আসেন তারা। পরে সেখানে আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করলেও তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পিবিআই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১

পিএম/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ