সিলেট: সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে বিজয়ের পথে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।
শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে টানা ভোটগ্রহণ হয়।
সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত ১৪৯ কেন্দ্রের মধ্যে ১০৮টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ৬৩ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭০১ ভোট।
অপর দুই প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী মটরগাড়ি (কার) মার্কায় ৪ হাজার ৬৬২ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ডাব প্রতীকে ৪৮৭ ভোট পেয়েছেন।
এ আসনে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩ ভোটারের মধ্যে ১৪৯ কেন্দ্রে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৬৬টি।
এরই মধ্যে নির্বাচনী আসনের ৩ উপজেলার মধ্যে দক্ষিণ সুরমার ৭৯টি কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফলাফলে হাবুর রহমান নৌকা প্রতীকে ৪৩ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়েছেন। লাঙ্গল প্রতীকে আতিকুর রহমান পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬১২ ভোট৷ মটরকার প্রতীকে আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী ৪ হাজার ৪২২ ভোট এবং ডাব প্রতীকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ ৩৮১ ভোট পেয়েছেন।
তবে এজেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এরইমধ্যে ৬৫ হাজার ২৭২ ভোটের ব্যবধানে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত ধরে নিয়েছেন নেতাকর্মী।
এবারই প্রথম সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট উৎসব শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, ফলাফল ঘোষণাকালে কন্ট্রোল রুমে হাজির হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনেকটা সুস্থ সুন্দর হয়েছে। তিনি হাবিবের বিজয় সুনিশ্চিত ধরেই সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তবে নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে গিয়ে মানুষ কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছে। তাই কমিশনের উচিত কেবলমাত্র একটি বাটন রাখা, যাতে টিপ দিলেই ভোট হয়ে যায়।
এ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপি থেকে বহিস্কৃত ও সাবেক সাংসদ শফি আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।
চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনা সংক্রমণ নিয়ে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটির সাংসদ আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪) অনুযায়ী, ওই শূন্য আসনে ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও করোনার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হয়নি।
এ অবস্থায় শূন্য আসনটিতে ৮ জুন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সেই তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দুদিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন আদালত। পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে ইলেকশন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
এনইউ/জেএইচটি