সাভার (ঢাকা): মাত্র তিন বছর বয়স শিশু ইমনের। আজ থেকে ৬-৭ মাস আগে তার তলপেটে একটি ছোটো বৃত্তের সৃষ্টি হয়।
বাবা মোহাম্মদ মিকাইল হোসেন ও মা জোবাইদা বেগম আশুলিয়ার বাংলাবাজার এলাকায় সাইফুল জোয়াদ্দারের বাসায় থেকে হামিম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। হতদরিদ্র এই দম্পতির একমাত্র সন্তানের এমন রোগ হওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছেন তারা। সন্তান ইমনের চিকিৎসার জন্য দ্রুত প্রায় তিন লাখ টাকা প্রয়োজন।
মোহাম্মদ মিকাইল হোসেন সাতক্ষীরা জেলার দিয়াভাটা থানার ডাউলিয়া গ্রাম থেকে ১১ বছর আগে শহরে আসেন। স্ত্রী ও নিজে চাকরি করে যা পুঁজি করেছেন ও তাদের কারখানার সহকর্মীদের থেকে নেওয়া টাকা দিয়ে সন্তানের চিকিৎসার খরচের এক তৃতীয় অংশ জোগাড় হয়েছে। বাকি দুই অংশের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন তারা।
শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপরে কথা হয় শিশু ইমনের পরিবারের সঙ্গে।
ইমনের বাবা মিকাইল বাংলানিউজকে জানান, তিনবছর আগে তাদের ঘরে আসে ইমন। তখন সব কিছু স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু এই বছরের প্রথম দিকে। ইমনের নাভীর নিচে একটি কালো দাগ হয় সঙ্গে একটি বৃত্তও। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম ভালো হয়ে যাবে। কয়েকবার ডাক্তারও দেখিয়েছি। পরে টিউমার ধরা পড়ে। কিন্তু সময় যতই যাচ্ছে ইমনের পেটের ব্যথা ও সেই টিউমার বেড়েই চলছে। ডাক্তার বলেছে দ্রুত তার এই টিউমার অপারেশনের মাধ্যমে ফেলে দিতে হবে। অন্যথা বিপদ হবে সামনে।
তিনি বলেন, তার চিকিৎসার জন্য প্রায় তিন লাখ টাকার প্রয়োজন। আমাদের কারখানা ও জমানো টাকা মিলিয়ে এক লাখের মতো ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু বাকি টাকার জন্য তার চিকিৎসা করাতে পারছি না। এই মুহূর্তে মানুষের কাছে হাত পাতা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।
ইমনের মা জোবাইদা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের একটি মাত্র সন্তান। তাও আল্লাহ এমন করে দিয়েছে। আল্লাহ আমাদের ঠিক করে দেবেন। মানুষের কাছে আর কত হাত পাতা যায়। অনেক টাকার প্রয়োজন। পোলাডারে বাঁচাতে যা করার দরকার করমু। তবুও আল্লাহ পোলাডারে আমাদের কাছে রেখে যাক। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
এনটি