টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় বাঙালির ঐতিহ্য নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মালেক মিঞা স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার চাপড়া বিলে এ বাইচের আয়োজন করা হয়।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলামের সভাপতিত্বে বাইচ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের)।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মো. আতাউল গনি। বরেণ্য অতিথি ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম মুখলেছুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় প্রমুখ।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতি বছরই চাপড়া বিলে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। বাইচ দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিলের পাড়ে লক্ষাধিক দর্শনার্থীদের ঢল নামে। সাধারণ ও ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ বিভিন্ন নৌযানে করে শিশু-নারীসহ নানা শ্রেণীর-মানুষজন এ বাইচ দেখেন।
বাইচ দেখতে আসা ফাতেমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, নৌকাবাইচ দেখেতে দু’দিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে এসেছি। শনিবার আয়োজিত আনন্দের বাইচ দেখতে দেবর, ননদসহ দেখলাম।
জেলার মির্জাপুর থেকে আসা দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাওন নৌকা বলে, আমার বয়সে এই প্রথম বাইচ দেখা। একসঙ্গে কখনো এত নৌকা দেখিনি। নৌকাবাইচ দেখতে খুবই ভালো লেগেছে।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। আর বঙ্গবন্ধু মানেই নৌকা। আবার গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নৌকাবাইচ। সেই দিক বিবেচনা করে মানুষদের বিনোদন দিতে প্রতি বছর চাপড়া বিলে বাইচের আয়োজন করা হয়। ভবিষ্যতেও এ ধরনের বাইচের আয়োজন করা হবে।
বাইচে অংশ নেয়- সোনার বাংলা, সোনার তরী, যমুনার তরী, একতা, হীরার তরী, স্বপ্নের তরী, ময়ূরপক্ষ্মী, বাবা মার দোয়া, তুফানসহ বিভিন্ন রঙের ৩৮টি নৌকা।
এর মধ্যে ভূঞাপুরের নিকরাইল এলাকার আব্দুস সবুর সরকারের নৌকা প্রথম, একই উপজেলার গাবসারা গ্রামের একতা দ্বিতীয় ও পাথাইলকান্দি এলাকার হীরার তরী তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
এসআরএস