ঢাকা, রবিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পল্লবীতে অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণ নিতে ২ গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১
পল্লবীতে অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণ নিতে ২ গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ...

ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার এভিনিউ ৫ মোড় ও ঝুট পট্টির মোড়ে মোটর চালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দফায় দফায় দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে আড্ডু বাহিনী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঝুট পট্টিতে কাউন্সিলর কার্যালয় ভাঙচুর করে।

রিকশা চালক কালাম বাংলানিউজকে বলেন, দুই গ্রুপ কার্ডের চাঁদার নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। কাউন্সিলর মানিকের গ্রুপ ও আড্ডু গ্রুপ রিকশার চাঁদা চাইছে। আমরা এখন কাকে দিব চাঁদা? কিভাবে চালাবো রিকশা?

আরেক রিকশাচালক ইসমাইল অভিযোগ করে বলেন, কাউন্সিলর মানিকের লোকেরা মোটর চালিত রিকশার মোটর খুলে নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ১৮শ টাকা করে অটোরিকশার কার্ডের চাঁদা চেয়েছে মানিক বাহিনীর লোকজন। এখন দুই গ্রুপ হয়ে গিয়েছে। একটি কাউন্সিলর মানিকের বাহিনী অন্যটি হচ্ছে আড্ডু বাহিনী।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক বাংলানিউজকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নে মোটর চালিত রিকশা বন্ধের অভিযানে বাধা দিয়েছে আড্ডু বাহিনী। মিরপুর ১০ নম্বর ঝুটপট্টি এলাকায় ও এভিনিউ ৫ মোড়ে অভিযানে তার লোকজন বাধা দিয়েছে। আমার কাউন্সিলর কার্যালয় রাত ৮টার দিকে আড্ডু বাহিনীর লোকজন ভাঙচুর চালায়।  

কাউন্সিলর অভিযোগ করে আরো বলেন, প্রতি মাসে এই এলাকার রিকশা থেকে ১ কোটি ৩ লাখ টাকা চাঁদা ওঠে। আড্ডু বাহিনী জুয়া ও কিশোর গ্যাং চালায় এই চাঁদা দিয়ে।  

মোহাম্মদ আলী আড্ডু বাংলানিউজকে বলেন, কাউন্সিলর মানিকের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তারা আমার নামে মিথ্যা অপবাদ চালাচ্ছে। ছড়াচ্ছে আমার লোকজন নাকি কাউন্সিলরের কার্যালয় হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুর করেছে। সে বসবাস করে তিন নম্বর ওয়ার্ডে। সে একজন কাউন্সিলর। আমি বসবাস করি ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। আমি একজন সামান্য যুবলীগ কর্মী। তার সঙ্গে বিরোধ করার ক্ষমতা আমার নেই। রিকশাচালকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিছিল করেছে। তারাই কাউন্সিলরের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে।

তিনি আরো বলেন, যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা জুয়েল রানার নেতৃত্বে সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে ১৮শ টাকা করে মোটর চালিত রিকশার কার্ড ছেড়েছে। এই কার্ড বাণিজ্যের সঙ্গে যুবলীগ বহিস্কৃত নেতা জুয়েল রানা ও ৩ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক জড়িত। কাউন্সিলর মানিকের নামে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়েছি মোটর চালিত রিকশা বন্ধের অভিযানের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। রাত ৮টার দিকে তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
এমএমআই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ