ঢাকা: সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টার প্রতিবাদও জানিয়েছেন তারা।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শফিকুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- দুর্নীতি রোধে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও নাতি-নাতনীদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থাসহ সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন; সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস করে মর্যাদা নির্ধারণ; হাসপাতাল, সরকারি অফিস, বিমানবন্দরসহ সব ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি বিক্রির চিন্তা বাদ দিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর। পরিত্যক্ত সম্পত্তি রক্ষা ও লাভজনক করতে সব ধরনের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল প্রস্তুত আছে বলেও জানান তারা।
সংগঠনের আরও দাবির মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে শহীদ বা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার ও অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার করতে হবে এবং জাতীয় সংসদ ভবনের নির্ধারিত সীমানা থেকে তথাকথিত মাজার বা কবর অন্যত্র প্রতিস্থাপন।
তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান আমরা মেনে নেব না। মুজিব কোটের সম্মান রক্ষায় সিনেমা, সিরিয়াল, নাটকে মন্দ চরিত্রে এ পোশাক পরা নিষিদ্ধসহ মন্দ লোকদের মুজিব কোর্ট পরা যাবে না- মর্মে আইন পাস করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ ও আব্দুল লতিফ খান, বীর ক্তিযোদ্ধার সন্তান মেজর সিনহা ও এএসপি আনিসুল করিম শিপনকে পরিকল্পিত খুনের বিচারসহ সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা, নির্যাতন ও জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতি, মাদক, ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে ও নিত্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের বেকারত্ব দূরীকরণে সহজ শর্তে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা টাকা ঋণ দিতে হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও নাতি-নাতনীদের ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীয় সংসদ ভবনসহ সব পরিষদে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সংরক্ষিত আসন থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
ডিএন/এমএমজেড