পাবনা: পাবনায় গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদারদের অস্ত্রের মহড়ার পর প্রভাবশালী এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কার্যালয়ে ঢুকে মারধরের অভিযোগ করেছেন এক উপ-সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী।
সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে গণপূর্ত ভবনে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদার ‘নূর কনস্ট্রাকশন’র মালিক মোখলেসুর রহমান নয়ন নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের কক্ষে উপ-সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে ঠিকাদারি কাজ নিয়ে কথা বলতে আসেন। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী তার কক্ষে ছিলেন না। আব্দুস সাত্তার ঠিকাদার নয়নকে নির্ধারিত সময়ে সঠিকভাবে কাজ শেষ করার তাগিদ দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে কিল ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করেন। তখন আব্দুস সাত্তারের চিৎকারে অফিসের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে করতে ঠিকাদার নয়ন অফিস থেকে বের হয়ে যান।
এদিকে, লাঞ্চিতের ঘটনায় সন্ধ্যায় ঠিকাদার নয়নের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী উপ-সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার। এ সময় তাকে আহত, বিধ্বস্ত ও আতঙ্কিত অবস্থায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে গাড়িতে উঠতে দেখা যায়।
এ ঘটনার বিষয়ে তিনি জানান, নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে ঠিকাদার নয়নকে তার অসমাপ্ত কিছু কাজ নিয়ম মাফিক শেষ করতে বলি। হঠাৎ তিনি উত্তেজিত হয়ে গালাগাল শুরু করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তিনি মারধর শুরু করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি স্তম্ভিত হয়ে পড়ি। নিজ অফিসে এমন অপমানিত হবো কখনো কল্পনাও করিনি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বাংলানিউজকে বলেন, আব্দুস সাত্তারকে মারধরের কথা শুনেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদার মোখলেসুর রহমান নয়নের মোবাইলে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। শহরের ছাতিয়ানি এলাকায় তার বাড়ি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, ভুক্তভোগেী প্রকৌশলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। গণপূর্ত বিভাগ চাইলে নিরপত্তার ব্যবস্থা করবে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
এনটি