ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাড়ি জমানোরাই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন করেছে : শাহরিয়ার কবির

কলকাতা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১০

কলকাতা: বাংলাদেশের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম সংগঠক শাহরিয়ার কবির বলেছেন, বঙ্গভঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তৎকালীন পূর্ববাংলার হিন্দু সম্প্রদায়। হিন্দুরা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে শরনার্থী হিসেবে দলে দলে ভারতে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছিল।


গতকাল শুক্রবার কলকাতার বেলঘরিয়ায় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘১৯০৫-এ বঙ্গভঙ্গ ঠেকানো গেলেও বিশের দশকের পর থেকেই সাম্প্রদায়িকতার বিষ মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। এরই জের ধরে ’৪৭ সালে দ্বি-জাতিত্বত্ত্বের উসকানিতে বঙ্গভঙ্গ হয়। আর এই বঙ্গভঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় পূর্ববাংলার হিন্দু সম্প্রদায়। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে পশ্চিম বঙ্গ থেকে পূর্ববঙ্গে যাওয়া লোকেরা ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করে। যার ফলে শরণার্থীরা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছিল। ’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এপার বাংলা থেকে যারা সেই সময় পূর্ব পাকিস্তানে গিয়েছিল তাদের একটা বড় অংশই ছিল জিন্নাহর দ্বি-জাতিত্বত্ত্বে বিশ্বাসী। তারা পূর্ববঙ্গে মুসলিম লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কয়েক বছরের মধ্যে হিন্দুদের জায়গা জমি সর্বস্ব দখল করে নিয়েছিল।

শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের পাকিস্তানিকরণ বা তালিবানিকরণ শুরু হয়ে যায় ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর। এই প্রক্রিয়া চলে ২০০৭ পর্যন্ত। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে ধর্ম নিরপেক্ষতার পক্ষে রায় দেয় বাংলাদেশের জনগণ। ’৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া এখন প্রাথমিক লক্ষ্য ।   তবে একাজ সহজ নয়।

ভারতীয় সময়: ১৪২০ ঘন্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।