খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের টয়লেট থেকে উদ্ধার করা নবজাতককে স্মৃতি বিকাশ চাকমা ও অন্বেশা খীসা দম্পত্তির হাতে লালন-পালনের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।
ছয় প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত সব বিষয় বিশ্লেষণ করে আদালত স্মৃতি বিকাশ চাকমা দম্পত্তির হাতে লালন পালনের জন্য রায় দেন।
মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু তাহেরের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
নবজাতক কোন সম্প্রদায়ের তা আদালতকে নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা।
এর আগে আদালত সব প্রার্থীর সম্পত্তি, সামাজিক অবস্থান, শিক্ষাসহ সব বিষয়ে অবগত হওয়ার পর ডাক্তার, প্রবেশন অফিসারসহ সবার বক্তব্য পর্যবেক্ষণ শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।
দত্তক নেওয়া পরিবারের পক্ষের আইনজীবী আফসার হোসেন রনি জানান, আদালতের রায়ে খুশি পরিবারটি। খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা পরিবারটির পক্ষের শুনানি করেন। পরে রাতে শিশুটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
খাগড়াছড়ি শহর সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হাসান বলেন, আদালতের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর পর আমরা জেলা সমাজসেবা বিভাগ, সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সদর থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে আদালত কর্তৃক ঘোষিত অভিভাবক স্মৃতি বিকাশ চাকমার কাছে হস্তান্তর করি। অবশেষে আইনি প্রক্রিয়ায় নবজাতক শিশুটির একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হলো।
গতকাল সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সদ্য জন্ম নেওয়া কন্যা শিশুটিকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের টয়লেট থেকে উদ্ধার করা হয়। সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতককে রেখে পালিয়েছেন তার মা। পরে নবজাতকটিকে খাগড়াছড়ি মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
এডি/এমআরএ