ঢাকা, শনিবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

যশোরে চোর সিন্ডিকেটের ১০ সদস্য আটক, ১১ মোটরসাইকেল উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
যশোরে চোর সিন্ডিকেটের ১০ সদস্য আটক, ১১ মোটরসাইকেল উদ্ধার

যশোর:  যশোরে আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ১০ সদস্যকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় চার জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি মাস্টার কি (চাবি), মোটরসাইকেল বিক্রির কুরিয়ার সার্ভিসের রশিদ এবং মোটরসাইকেল বিক্রির ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে মোটরসাইকেলসহ চোরচক্রের ১০ সদস্য আটকের বিস্তারিত জানানো হয়।


আটক ১০ জন হলেন- যশোর সদরের বালিয়াডাঙ্গা মাঠপাড়ার মতি মোল্লার ছেলে নুর ইসলাম (৩০), সুলতানপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া গোলাম মোস্তফার ছেলে আল আমিন শেখ (২৮), উপশহর ৭ নম্বর সেক্টরের আব্দুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া জকির হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন (৩৯), বেজপাড়া মাঠপাড়ার আকসেদ গাজীর ছেলে ফারুক গাজী (৩৬), নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে কবির ওরফে নুর ইসলাম (৪০), মাগুরা সদরের পার নান্দুয়ালী মোল্লাপাড়ার মুন্সি মাহমুদুল হকের ছেলে মজিবুল হক (৩৩), আসলাম মোল্লার ছেলে রশিদুল হক (৩২), এনামুল হকের ছেলে চঞ্চল (৩১), যশোরের কেশবপুর উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাধু (৩২) এবং রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার স্বর্পবেতেঙ্গা গ্রামের জোমারত মল্লিকের ছেলে সালাম মল্লিক (৩৬)।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, যশোরের ঝিকরগাছা ও কেশবপুর এলাকার দুটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এ সিন্ডিকেটের সন্ধান পায়। এরপর গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত যশোর, মাগুরা ও রাজবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ১০ জনকে আটক করা হয়। এ সময় চোরাই ১১টি মোটরসাইকেলসহ তাদের কাছ থেকে মোটরসাইকেল চুরির কাজে ব্যবহৃত তিনটি মাস্টার কি জব্দ করা হয়েছে।

প্রেসব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ (প্রশাসন ও অপরাধ) জানান, এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা মোটরসাইকেল চুরি করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতো। যশোরের এসএ পরিবহন ও জননী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চোরাই মোটরসাইকেল পাচার করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে প্রমাণ আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণত কুরিয়ার সার্ভিসে মোটরসাইকেল পাঠানোর সময় সংশ্লিষ্ট গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করে নেয়া হয়। বুকিং হওয়া গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের ফটোকপি কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ নিয়ে থাকে। কিন্তু কীভাবে উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাচার হলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। আটক ১০জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৪১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
ইউজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।