ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ভাড়া না থাকায় ২ শিশুকে লঞ্চ থেকে নদীতে ফেলার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
ভাড়া না থাকায় ২ শিশুকে লঞ্চ থেকে নদীতে ফেলার অভিযোগ

ঢাকা: ভাড়ার টাকা না থাকায় দুই শিশুকে লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লঞ্চের কর্মীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরগামী ইমাম হাসান-৫ লঞ্চটি মেঘনার মুন্সীগঞ্জ অংশে পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী দুই শিশু।

শিশু দু’টি হলো- মেহেদুল হাসান (১৩) ও সাকিব হাসান (১২)।  

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই দুই শিশু জানায়, ভাড়ার টাকা না থাকায় লঞ্চের কর্মচারীরা তাদের নদীতে ফেলে দেন।  

গজারিয়া থানা পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি নৌকায় দুই শিশুকে প্রশ্ন করছেন গজারিয়া থানার ওসি রইছ উদ্দিন? জবাবে শিশুরা বলছে, নদীতে ফেলে দিয়েছে ইমাম হাসান-৫ লঞ্চের স্টাফরা। ভাড়া না দিয়ে ছাদে উঠেছি, তার জন্য ফেলে দেয়।

পুলিশ জানায়, শনিবার গজারিয়া লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একটি স্পিডবোটে মেঘনা নদীতে অবস্থান করছিল কয়েকজন পুলিশ। এসময় দুই শিশুকে ভাসতে দেখে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে নিয়ে আসে। মেহেদুল ও সাকিব নামে ওই দুই শিশু জানায় যে তারা সদরঘাট এলাকায় থেকে লঞ্চে পানি বিক্রি করে। পরে তাদের ঢাকা-সদরঘাটগামী এমভি আল-বোরাক লঞ্চে উঠিয়ে দেওয়া হয়। শিশু দু’টির অভিযোগ, ভাড়ার টাকা না থাকায় লঞ্চের স্টাফরা তাদের নদীতে ফেলে দিয়েছিল।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইমাম হাসান-৫ লঞ্চের মাস্টার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুই শিশু নিজেরাই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। অন্য যাত্রীরা পরে আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন।  

তিনি আরো বলেন, বড় লঞ্চগুলো যখন ঘাটগুলোর সামনে দিয়ে যায়, তখন স্থানীয় ট্রলারগুলো লঞ্চের গা ঘেঁসে ভেড়ে, যাতে যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারেন। মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় দুই শিশু ভেবেছিল যে একইভাবে লঞ্চের কাছে ট্রলার আসবে। কিন্তু আমাদের লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ ঘাটে নোঙর করে না। তাই এর কাছে কোনো ট্রলার আসেনি। কিন্তু ট্রলার এসে তাদের নিয়ে যাবে ভেবে শিশু দু’টি একটু সামনে গিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। তাদের ফেলে দেওয়া হয়নি। সব যাত্রী দেখেছেন। আমরা ফেলে দিলে যাত্রীরা আমাদের বাধ্য করে লঞ্চ থামিয়ে দিতে পারত। তা ছাড়া এসব শিশু পানি বিক্রেতার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।