ঢাকা: করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পর থেকেই রাজধানীর সড়কে সড়কে ছিল তীব্র যানজট। তীব্র গরমের মধ্যে বিভিন্ন সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হওয়ায় ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে নগরবাসীর।
এদিকে বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পর অনেকদিন পার হলেও তীব্র যানজটের সুরাহা হয়নি। এর মধ্যে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশের স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ায় রাস্তায় এর বাড়তি প্রভাব পড়েছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ছাপিয়ে গাড়ির জটলা ছড়িয়েছে অলি-গলিতেও।
এদিন সকাল থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, শ্যামলী, ফার্মগেট এলাকা ঘুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ব্যক্তিগত গাড়ির জটলা দেখা গেছে। পাশাপাশি স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বহনকারী রিকশার চাপও ছিলো। অলি-গলির এ জটলা বাড়তে বাড়তে প্রধান সড়কেও এর প্রভাব পড়েছে।
রাজধানীর কলেজগেট এলাকায় রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ ছিলো চোখে পড়ার মতো। শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দিয়ে অনেক গাড়িকে ফিরে না যেয়ে সড়কের পাশেই অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ফলে কলেজের পেছনের দিকের পথ আরও সরু হয়ে তীব্র জটলা তৈরি হয়। দুপুরের দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছুটির পর ক্রমেই জটলা আরও বেড়েছে।
এদিকে অলি-গলির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক গাড়ির চাপের কারণে শ্যামলী-আসাদগেট-ফার্মগেট সড়কে ছিলো তীব্র যানজট। সকালের পর পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হলেও দুপুর থেকে যানজট আবারও বাড়তে থাকে।
ফার্মগেট এলাকায় যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা ওয়েলকাম পরিবহনের চালক আজিজ জানান, মেট্রো রেলের কাজ ছাড়াও রাস্তায় বিভিন্ন কাজে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এর ফলে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে। আজ (রোববার) থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ায় প্রাইভেটকারের চলাচল বাড়ায় যানজট আরও বেড়েছে।
মিরপুর থেকে মতিঝিলে অফিসের কাজে যাচ্ছিলেন আমানউল্লাহ। তিনি বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আসতে প্রায় দুই ঘণ্টার লেগেছে। এতোক্ষণ বসে থেকে এখন গাড়ি থেকে নেমে যেতে বাধ্য হয়েছি। দেখি মোটরসাইকেলে করে বাকি পথ যাওয়া যায় কি-না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথে পথে বসে থেকে ভোগান্তি চরম পর্যায়ে ঠেকেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
পিএম/এমএমজেড