ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

এখন মাত্র ৫০ টাকায় রায়েন্দা-মাছুয়া খেয়া পারাপার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
এখন মাত্র ৫০ টাকায় রায়েন্দা-মাছুয়া খেয়া পারাপার ছবি: বাংলানিউজ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা-মাছুয়া খেয়া পারাপারের জন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় খুশি যাত্রীরা। দীর্ঘদিনের জুলুম ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বন্ধ হওয়ায় ইজারাদার ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলা ও বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলাকে দিখণ্ডিত করেছে প্রমত্তা বলেশ্বর নদী। এই দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন অথরিটির খেয়া চালু রয়েছে। প্রতিবছর নির্দিষ্ট দরপত্রে অংশগ্রহণ করে এই খেয়া ইজারা নিতে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মঠবাড়িয়া এলাকার ইজারাদাররা খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া নিতেন।  

এ বছর রায়েন্দা বাজার এলাকার আব্দুস ছালাম হাওলাদার নামে এক ব্যবসায়ী ঘাট ইজারা নেওয়ার পর থেকে মাথাপিছু ১০০ থেকে ৩০০ টাকার ভাড়া নামিয়ে আনেন ৫০ টাকায়। ব্যবসায়ীর এমন উদ্যোগে স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতেও ৫০ টাকা ভাড়া বিদ্যমান রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে ভাড়া কমানোয় ক্ষিপ্ত স্থানীয় কিছু অসাধু লোক নিয়ম ভঙ্গ করে দুটি ট্রলারে করে রায়েন্দা বড় মাছুয়া থেকে আড়াআড়ি লোক পারাপার করছে। এভাবে চলতে থাকলে এই ইজারাদারকে লোকসান গুনতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

খেয়া পার হওয়া গোলাম মওলা নামে রায়েন্দা এলাকার এক যাত্রী বলেন, মঠবাড়িয়ার সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন কারণে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। তাই প্রায়ই মঠবাড়িয়া যেতে হয়। কিন্তু খেয়া পারাপারে আমাদের অনেক টাকা যেত। ২শ থেকে ৫শ টাকা দিয়েও আমরা খেয়া পার হয়েছি। কয়েক মাস হল নতুন ইজারাদার এসে ভাড়া কমিয়েছেন। এখন মাত্র ৫০ টাকায় আমরা খেয়া পার হই। আমরা নতুন ইজারাদারের আচরণে খুবই খুশি।

আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, নজরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন বলেন, এক সময় ২শ টাকা দিয়ে ঘাট পার হতে হত। আবার দুপুর, সন্ধ্যা অথবা কম লোক থাকলে এই ভাড়া ৪শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত দিতে হত। এখন আর এই জুলুম হয় না আমাদের ওপর। এখন মাত্র ৫০ টাকায় পার হতে পারি।

ইজারাদার আব্দুস ছালাম হাওলাদার বলেন, ঘাট ইজারা নেওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৫০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছি। যার ফলে যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু ব্যক্তি আমাদের ক্ষতি করার জন্য রায়েন্দা-মাছুয়া আড়াআড়ি ট্রলার পারাপার শুরু করেছে। কিন্তু আড়াআড়ি পারাপার না করার জন্য দয়াল-২ নামে ওই ট্রলারটি এর আগে প্রশাসনের কাছে অঙ্গিকার নামা দিয়েছিলো। তারপরও তারা আড়াআড়ি যাত্রী পারাপার করে আমাদের ক্ষতি করছে। অবৈধভাবে এই দয়াল-২ ট্রলার চলাচল বন্ধের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।